নাসিরুদ্দিন মোল্লা একবার খুব যত্ন করে একটা খাসি
পুষেছিলেন। নধরকান্তি খাসিটার ওপর পাড়াপড়শির অনেকদিন ধরেই লোভ ছিল। একদিন কয়েকজন
পড়শি যুক্তি করে দল বেঁধে হানা দিল মোল্লার বাড়িতে। মোল্লাকে ডেকে বলল, “শুনেছ কি
মোল্লা! আমাদের সবার জন্যে বড়ই দুঃসংবাদ আছে। এত শখের গাছপালা, বাড়িঘর,
সহায়সম্পত্তি, তোমার প্রিয় গাধা, এমনকি তোমার এই নধর খাসিটাও আর থাকবেনা।সব শেষ
হয়ে যাবে। বুঝলে মোল্লা।”
মোল্লা অবাক হয়ে চেয়ে বললেন। “তবে এখন উপায়?”
“আর কোন উপায় নেই মোল্লা। তার চেয়ে বরং যে কটা দিন বেঁচে
থাকব একটু আয়েশ করে বাঁচি। তোমার খাসিটাও তো মরবে। চলো আজ আমরা তোমার খাসিটাকে
জবাই করে ওটার মাংস খেয়ে সবাই মিলে আয়েশ করি।”
মোল্লাও রাজি হয়ে গেলেন। সবাই মিলে খাসি জবাই করে
মহানন্দে রান্না করে পেটপুরে মাংস খেয়ে জামা জোব্বা পাগড়ি খুলে সবাই মোল্লার
বাড়িতেই রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে উঠে সবাই দেখে তাদের জামা জুতো জোব্বা পাগড়ি
আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
মোল্লা ওদের জামা জোব্বা খুঁজতে দেখে বললেন, আর খুঁজে কি
হবে ভাই! কাল তোমরা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ভাবলাম দুনিয়া তো ধ্বংস হয়েই যাবে তবে এইসব
জামা জুতো জোব্বা পাগড়ি রেখে আর কি লাভ। তাই পুড়িয়ে ফেললাম।”