ছবিটাতে কি শুধু একটা চায়ের দোকান দেখা যাচ্ছে? গুজরাটের এক অজানা স্টেশনের পুরোন একটা চায়ের দোকান! বাবাকে চায়ের দোকানে সাহায্য করতেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীকালে চায়ের দোকান নিজেই চালনা করতেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্ম ১৯৫০ সালে। আট বছর (১৯৫৯ সাল) বয়সে তিনি আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে যান। স্কুলের গন্ডি পার করতেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। প্রতিবাদে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। দু’বছর তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তিনি একুশ বছর (১৯৭১ সাল) বয়সে পুরোপুরি আরএসএস-এর হোলটাইমার হয়ে যান। তাহলে চা বেচার সময় তাঁর খুবই স্বল্প। হতে পারে ১৯৬৯ সালে বিয়ের পরে বাড়ি ছেড়ে বেরোনর আগে পর্যন্ত তিনি চা বেচেছেন।
Flickr Gallery
Wednesday, September 4, 2019
Wednesday, August 14, 2019
নতুন চশমা কিনে আমি পজিটিভ হয়ে গেছিঃ আউলওয়াচ
পুরোন চশমাটা বাতিল করে নতুন একটা চশমা কিনেছি। এই চশমায় আমি এখন সবকিছু পজিটিভ দেখতে পাচ্ছি। আমি পজিটিভ হয়ে গেছি তারপর থেকে। গাড়ি শিল্পের মন্দার খবর আর আমি নেগেটিভ ভাবে মেনে নিতে পারছিনা। এর মধ্যেও একটা পজিটিভ দিক খুঁজে পাচ্ছি। শুনছি গাড়ি শিল্পের এবং তার অনুসারী শিল্পে মন্দার প্রভাবে ১০-১৫ লাখ লোক কর্মহীন হতে চলেছে।
Monday, August 12, 2019
ছাই দিয়ে আগুন ঢাকা যাবে কি?
বিবিসি থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ওদের পোর্টালে, যেখানে দেখা যাচ্ছে শ্রীনগরে শুক্রবার নামাজের পরে কয়েক হাজার কাশ্মীরির বিক্ষোভ ও জনসভা। কারফিউ, ১৪৪ ধারা অস্বীকার করে ওরা ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। আমাদের দেশের সরকারের কাছে এই বিক্ষোভ মোটেই কাম্য নয়। রাষ্ট্র সক্রিয় হয়ে বিদ্রোহ দমন করার জন্যে গুলি ছুঁড়ছে। পাথর ছুঁড়ছে। বন্দুক উঁচিয়ে মানুষ তাড়া করছে। টিয়ার সেল ফাটাচ্ছে। পেলেট গান ছুঁড়ছে। মানুষ গুলি থেকে বাঁচতে রাস্তায় শুয়ে পড়ছে। হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। শ্রীনগরে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
Wednesday, August 7, 2019
কাশ্মীরে এক গজ জমি চাই আমার
৩৭০ ধারা সরিয়ে নিয়ে এবার আমরা সবাই কাশ্মীরে জমি কিনতে পারব। আর ওখানে গিয়ে সরকারি চাকরি করতে পারব। আমার খুব আনন্দ। তাছাড়া ৩৫-এ ধারা সরে গিয়ে ওখানকার মেয়েকে বিয়ে করলে তার পারিবারিক সম্পত্তির ওপর আমার দাবি সুরক্ষিত করতে পারব। যারা কাশ্মীরের হট্টগোলে আনন্দ মশগুল হয়ে লাড্ডু বিলি করছে তাদের মুখেই এই কথাগুলো শুনলাম। তাই চলো কাশ্মীর।
Friday, August 2, 2019
শ্রমিকের কোন ধর্ম হয়না, শ্রম নিজেই একটা ধর্ম
জোম্যাটো নিয়ে আমরা এখন জল ঘোলা করতে শুরু করেছি। গত দুদিনে জোম্যাটোকে এত লোক সেলাম জানিয়েছি যে কোম্পানির মালিককে বিশাল এক বিপ্লবী বানিয়ে ফেলেছি অনেকে। একজন গোঁড়া হিন্দু ভদ্রলোক অ্যাপ-এর মাধ্যমে খাবার চেয়েছিলেন জোম্যাটো’র কাছে। সেই হিন্দু ভদ্রলোককে খাবার দিতে আসেন একজন মুসলমান ‘ডেলিভারি বয়’ বা ‘জোম্যাটো ড্রাইভার’। গোঁড়ামির তেজে হিন্দু ভদ্রলোক সেই খাবার নিতে অস্বীকার করেন। গোঁড়া হিন্দু ভদ্রলোকটি নিজেও হয়তো শ্রমিক। কিন্তু তিনি হিন্দু শ্রমিক আর মুসলমান শ্রমিকের মধ্যে বিভেদ টেনে নিজের শ্রেণিচেতনা হারিয়েছেন। ধর্মের ধোঁয়া চোখে লেগে তিনি অন্ধ হয়েছেন। এবং এর প্রত্যুত্তরে জোম্যাটো ট্যুইট করে, ‘খাবারের কোন ধর্ম হয়না, খাবার নিজেই ধর্ম’।
Thursday, July 25, 2019
রামকে নিয়ে টানাটানির নাম রামটান
বাংলায় এখন রামচর্চা চলছে। এখন বাংলায় ভূতের মুখেও রামনাম শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছে বাংলায় নাকি রামচর্চা ছিলনা। এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে নাকি বাংলায়। আমি বলছি বাংলায় রামচর্চা ছিল। আদ্দিকাল থেকেই অনেকের ঘরে ঘরে রামায়ণ পাঠ হয়। রামচন্দ্র মানে ভগবান। রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম কর্ম সব বাংলায়। বাংলার ঘরে ঘরে হরে রাম হরে কৃষ্ণ কীর্তন শোনা যায়। অজস্র গ্রামগঞ্জের নাম রাম দিয়ে শুরু বা রাম দিয়ে শেষ। কয়েকটা শহরের নামের মধ্যেও রাম ঢুকে আছে। রামপুরহাট, শ্রীরামপুর, সীতারামপুর, রামরাজাতলা ইত্যাদি।
Wednesday, July 24, 2019
বিশ্বায়নের যুগে নেতা কিনতে পাওয়া যাচ্ছেঃ আউল ওয়াচ
বিশ্বায়নের যুগে কেনাবেচার ব্যাপারটা খুব সহজ হয়ে গেছে। সবকিছুই বিক্রি হয়। যা বিক্রি হয় তা কেনাও যায়। তার মানে সবকিছুই কেনা যায়। আগে ঘাট মাঠ বিক্রি হত। এখন রাস্তা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। টোল ট্যাক্স দিয়ে রাস্তা চলতে হচ্ছে। বন জঙ্গল বিক্রি হচ্ছে। ট্যাঁকে কড়ি থাকলে বাড়ি, গাড়ি কেন চাঁদ পর্যন্ত কিনে ফেলা যায়। কয়লা, বীমা, তেল, রেল, ভেল এসব নিয়ে অনেককাল ধরেই ঢাকঢাক গুড়গুড় চলছিল। এখন আর রাখঢাকের বালাই নেই। লজ্জার মাথা খেয়ে এসব বিক্রির বহর লেগেছে। থরে থরে সাজানো আছে। ফেলো কড়ি মাখো তেল, তুমি কি আমার পর! দেশজ ব্যাবসাদার ফেলুক। কিংবা বিদেশি হামলাদার। কেউ আজ আর পর নয়।
Sunday, July 21, 2019
অথ একুশে জুলাই শহীদ দিবস কথাঃ বঙ্গপুরাণ
অঙ্গুলিদ্বারা জিহ্বা উলটা করিয়া হুটকার শব্দ নিক্ষেপ করিয়া পন্ডিত হুতোমকে সভায় অবতরণ করিবার বার্তা প্রেরণ করিলে পক্ষবিস্তারপূর্বক সর্বলোকগামী, সর্বজ্ঞানধারী, শুদ্ধাচারী পন্ডিত হুতোম পৎপৎ শব্দ সহযোগে সভাস্থলের ওপরের ঘুলঘুলিতে আসন গ্রহণ করিলেন। সভাসদগণ গগনচারী হুতোমের আগমনে উচ্ছ্বসিত হইয়া জয়শ্রী হুতোম ধ্বনিতে সভাস্থল পরিপূর্ণ করিলে হুতোম বেজায় প্রসন্ন হইয়া রাজা জনার্দনকে কহিলেন, “হে রাজাধিরাজ জনার্দন আমি দিগন্ত হইতে আপনার সকাশে আগত হইলাম। এক্ষণে কি কারণে আমাকে স্মরণ করিলেন কহিলে অদ্য আপনার জিজ্ঞাসা নিবারণে ইচ্ছুক হইব।”
Friday, July 19, 2019
ফেস অ্যাপ-এ নাক গলানোর ভোগান্তি
বাড়ি থেকে বেরিয়ে মোড় মাথায় ঊঠতেই পুলিশ এসে ঘটির মতো কি যেন একটা বাড়িয়ে দিল। ওই ঘটিটা একটা আধুনিক যন্ত্র। বাড়ি থেকে বেরোলে সুরক্ষার স্বার্থে পুলিশ এখন জনতার কাছ থেকে পাঁচ টাকা ঘন্টা নিচ্ছে। পুলিশ তো বেসরকারি হয়ে গেছে। বেসরকারি হওয়ার পর থেকে এই দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তা বাড়ুক। সুরক্ষা তো দিচ্ছে। এর ফলে পাঁচ টাকা দেওয়া জনতাকে পুলিশ জিপিএস দিয়ে ট্র্যাক করে তার ডাটা সরাসরি নিজেদের থানাগুলোতে জানিয়ে দিচ্ছে। কেউ আপনার পকেটমারি করতে গেলেও থানায় সাইরেন বেজে উঠবে।
Saturday, July 6, 2019
বাজেট ২০১৯ একটি পজিটিভ বাজেটঃ আউল ওয়াচ
বাজেটের পজিটিভ দিকটা কেউ দেখতে পাচ্ছেনা কেন?
এই বাজেটে মোবাইল চার্জারের দাম কমে গিয়ে খুব ভাল হল। কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে চার্জারের দাম কমিয়ে দিয়ে মানুষের অনেক সুরাহা করল। আগে যারা একটা চার্জার রাখত এবার তারা দুটাকা দাম কম দেখে আট দশখানা চার্জার কিনে ফেলতে পারবে। এর ফলে চার্জার বিক্রি বেড়ে যাবে। চাহিদা পূরণের জন্যে মোবাইল চার্জারের উৎপাদন বাড়তে বাধ্য। এবং কর্মসংস্থান হতে বাধ্য। অর্থনীতির এই সূক্ষ্ম দিকটা না দেখেই অনেকে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। আমি ছাড়া এই ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারছেনা।
এই বাজেটে মোবাইল চার্জারের দাম কমে গিয়ে খুব ভাল হল। কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে চার্জারের দাম কমিয়ে দিয়ে মানুষের অনেক সুরাহা করল। আগে যারা একটা চার্জার রাখত এবার তারা দুটাকা দাম কম দেখে আট দশখানা চার্জার কিনে ফেলতে পারবে। এর ফলে চার্জার বিক্রি বেড়ে যাবে। চাহিদা পূরণের জন্যে মোবাইল চার্জারের উৎপাদন বাড়তে বাধ্য। এবং কর্মসংস্থান হতে বাধ্য। অর্থনীতির এই সূক্ষ্ম দিকটা না দেখেই অনেকে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। আমি ছাড়া এই ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারছেনা।
Subscribe to:
Posts (Atom)