বাজেটের পজিটিভ দিকটা কেউ দেখতে পাচ্ছেনা কেন?
এই বাজেটে মোবাইল চার্জারের দাম কমে গিয়ে খুব ভাল হল। কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে চার্জারের দাম কমিয়ে দিয়ে মানুষের অনেক সুরাহা করল। আগে যারা একটা চার্জার রাখত এবার তারা দুটাকা দাম কম দেখে আট দশখানা চার্জার কিনে ফেলতে পারবে। এর ফলে চার্জার বিক্রি বেড়ে যাবে। চাহিদা পূরণের জন্যে মোবাইল চার্জারের উৎপাদন বাড়তে বাধ্য। এবং কর্মসংস্থান হতে বাধ্য। অর্থনীতির এই সূক্ষ্ম দিকটা না দেখেই অনেকে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। আমি ছাড়া এই ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারছেনা।
এই বাজেটে মোবাইল চার্জারের দাম কমে গিয়ে খুব ভাল হল। কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে চার্জারের দাম কমিয়ে দিয়ে মানুষের অনেক সুরাহা করল। আগে যারা একটা চার্জার রাখত এবার তারা দুটাকা দাম কম দেখে আট দশখানা চার্জার কিনে ফেলতে পারবে। এর ফলে চার্জার বিক্রি বেড়ে যাবে। চাহিদা পূরণের জন্যে মোবাইল চার্জারের উৎপাদন বাড়তে বাধ্য। এবং কর্মসংস্থান হতে বাধ্য। অর্থনীতির এই সূক্ষ্ম দিকটা না দেখেই অনেকে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। আমি ছাড়া এই ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারছেনা।
সোনার দাম বাড়ল বলে চিন্তার কোন কারণ দেখছিনা। গরীব লোকে সোনা কেনেনা। তাই এর ফলে বড়লোকদের গ্যাঁট থেকে কিছুটা খসিয়ে নেওয়া যাবে। এই বাড়তি টাকা দেশের উন্নতির কাজে লাগবে। তবে সোনার দাম বেড়ে একেবারে নিচু তলায় লাথি খেয়ে পড়ে থাকা গরীব ছিনতাইবাজদের খানিকটা সুরাহা করা গেল। আগে গলার হার ছিনতাই করে যে দামে বেচা যেত এখন তার চেয়ে নির্থাৎ বেশি দামে বেচতে পারা যাবে। যার ফলে খানিকটা হলেও পুরোন ছিনতাইবাজদের অর্থনৈতিক উন্নতি করা গেল। সোনার দাম বেড়েছে বলে অনেক বেকার ছেলেপুলে ছিনতাই কার্যে উৎসাহিত হয়ে এই কাজে বেশি করে যোগ দেবে। যার ফলে কর্মসংস্থান বাড়তে বাধ্য।
পেট্রোল আর ডিজেলের দাম ধাঁ করে আড়াই টাকা লিটার প্রতি দরে বেড়ে গিয়েও খুব ভাল হল। এর ফলে মানুষের মনোরঞ্জন হবে। সবাই মিলে পেট্রোল আর ডিজেল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানারকম মন্তব্য করে অনেকদিন আমাদের সবাইকে মাতিয়ে রাখবে। পেট্রোল কেনার সেলফি তুলে নিজের স্ট্যাটাস বাড়ানো যাবে। চার্জারের দাম তো কমেই গেল। মোবাইলের চার্জ কমে গেলে আবার চার্জ করে নিয়ে তেল কেনার ভিডিও আপলোড করতেও অসুবিধা হবে না। মনোরঞ্জন বাড়লে মানুষের মন সতেজ থাকবে। স্বাস্থ্য ফিরে আসবে। এর ফলে স্বাস্থ্য খাতে খরচ কম হবে।
শুনছি নাকি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। তা পাক। যে দেশ যত উন্নতি করেছে সেই দেশে জিনিসের দাম তত বেশি। খুচরো এক ডজন ডিম ভারতের ভাগলপুরে ষাট টাকা গড়ে। কিন্তু আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনশো টাকা পড়ে। অর্থাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেই আমাদের দেশ আমেরিকার উন্নতির কাছাকাছি চলে যেতে পারবে। এই সূক্ষ্ম অর্থনীতি নিয়ে কজন লোক চিন্তা করতে পারে বলুন তো! আড়াইশো গ্রাম আলু আপনি যেদিন দুশো টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন সেদিন বুঝবেন আপনি উন্নত দেশবাসী। এর ফলে কৃষক, ফড়ে, মহাজন সবাইয়ের উন্নতি হবে। সবাই টাকার মুখ দেখতে পারবে। সবাই সুখ ভোগ করতে পারবে।
শুধুই মোদির পেছনে কাঠি করলে হবে! মোদিকে দেশের মানুষ মেজরিটি ভোটে জিতিয়েছে। দেশের মানুষের অনেক বিশ্বাস তাঁর ওপর। তাঁকে ভরসা করে দেশের মানুষ নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখছে। অনেক কঠিন পদক্ষেপ তাঁকে নিতে হবে। তাই মোদির মন্ত্রীরা এই বাজেটে কর্মসংস্থানের কোন উল্লেখ করেননি। কারণ কর্মসংস্থান যে বাড়বেই সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দুটো উদাহরণ তো আগেই দিলাম। এছাড়া যারা বেকার থেকে যাবে তারা চা-বিড়ি খাবেই। তার জন্যে চায়ের দোকান আর বিড়ির দোকান বাড়বে। কর্মসংস্থান হবেনা কে বলছে! যে চা খাবে সে কি বিস্কুট ছাড়াই চা খাবে! তাহলে বিস্কুটের উৎপাদন আর দোকান বাড়বে কিনা! যে বিস্কুট কিনে খেতে পারবে সে দুটাকা বেশি খরচ করে চপ কিনেও খেতে পারবে। চপের দোকান আরও বাড়বে।
তাহলে! কে বলছে কর্মসংস্থান হবে না! এবারের বাজেটের নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে সবাই বলছে। সরকারি মিডিয়াগুলো শুধু পজিটিভ দিকটা দেখতে পাচ্ছে। তবে আমার মতো পজিটিভিটি নিয়ে কেউ ব্যপারটা বুঝতে চাইছেনা। এই বাজেটটা সর্বকালের সেরা বাজেট। শিক্ষা দীক্ষা তো লাটে উঠছে। এখন বিকল্প অর্থনীতি ও বিকল্প পথে আয়ের কথা ভাবতেই হচ্ছে। নাহলে দেশ চলবে কি করে! জয় শ্রীরাম।