গতকাল সকালে রাঁচিতে ঝাড়খন্ডের হাইকোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন চা খেতে খেতে আজকে আমাদের ছুটিতে কি কি করব তার একটা খসড়া তৈরি করছিলাম. আমি মুখ ফসকে বলে দিলাম “কাল তো প্রজাতন্ত্র দিবস”. তাই শুনে সুব্রতদা আরও দু তিনজন সঙ্গীকে সাক্ষী রেখে বললেন, “প্রজাতন্ত্র দিবস বলছিস কেন? এটা তো গণতন্ত্র দিবস”. অনির্বাণদা এক গাল হেসে তাঁর তাৎক্ষণিক মন্তব্য করলেন, “হে হে, প্রজাতন্ত্রই বটে, এখনও আমাদের দেশে রাজারা রাজত্ব করে. রাজতন্ত্র থাকলেই প্রজাতন্ত্র থাকবে. তাই আগামীকাল প্রজাতন্ত্র দিবস বললেও ক্ষতি কোথায়!” আমরা তিনজনেই প্রবাসী বাঙালি. আমরা ২৬শে জানুয়ারিকে গণতন্ত্র দিবস বলি. আমাদের শব্দ ভান্ডারে প্রজাতন্ত্র কথাটি বিলুপ্ত.
Flickr Gallery
Thursday, January 26, 2012
Tuesday, January 24, 2012
'চ্যাংড়া' সাংবাদিককে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ
মুখ্যমন্ত্রী মমতার মুখের ভাষায় আবার ‘আক্রান্ত’ সাংবাদিক। এবার কোন বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিককে তিনি ‘চ্যাংড়া’ ও ‘ফড়ে’ বলে দিলেন। কাঁকুড়গাছিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বললেন, ‘কয়েকজন চ্যাংড়া, ফড়ে চ্যানেল চালিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। কেউ আমাকে ডিক্টেট করবে? যেটা বলতে বলবে সেটাই বলব? তুই আমাকে ডিক্টেট করার কে?” তবে যে চ্যানেলের উদ্দেশ্যে তিনি এই কথাগুলি বললেন সেই চ্যানেলটি এই বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি। অন্য একটি ‘প্রিন্ট মিডিয়া’ এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে। মজার কথা হল যে প্রিন্ট মিডিয়া এই সংবাদটি ছেপেছে তাদের কোন ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়া’ নেই।
Monday, January 23, 2012
তৃণমূলের সর্বনাশ মানে সিপিআইএম-এর পৌষমাস নয়
সাত আট মাস মাত্র হয়েছে সরকার পরিবর্তনের। সবাইকে আশ্চর্য করে বর্তমান সরকার শুধু ফাঁকা বুলি কপচানো ছাড়া বেশি কিছু করতে পারেনি। কিন্তু কিছু করতে পারেনি বলে যতটা ক্ষতি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে সিপিআইএম-এর। এমন কথা শুনে লোকে লেখককে পাগল বলতেই পারে। তা পাগলই বলুক আর মূর্খই বলুক লেখকের মন যা চায় লেখক তাই লেখে। তাই আবার বলছি তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের জেরে আদতে ক্ষতি হবে সিপিআইএম-এর। তার সঙ্গে অবশ্যই মানুষের ক্ষতি হবে।
Sunday, January 22, 2012
সবুজ জামা দেখলেই বুঝুন গোয়েন্দা হাজির
নভেম্বর মাসে বাংলার একটি প্রচলিত দৈনিক পত্রিকায় একটি খবর বেরিয়েছিল। খবরে প্রকাশ, রাজ্যের গোয়েন্দারা সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল সিপিআইএম কৌশল করে বেশ কিছু ‘বেনোজল’ তৃণমূল কংগ্রেসে ঢোকাচ্ছে। প্রশ্ন হল, সরকারি গোয়েন্দারা কি কোন একটি বিশেষ দলের হয়ে এরকম রিপোর্ট তৈরি করতে পারে! সিপিআইএম-এর ‘কৌশল’ কেন, তার কোন উল্লেখ চোখে পড়েনি। ‘বেনোজল’ তো তৃণমূলের দলীয় ব্যাপার। তৃণমূলের কর্মীরাই তো এইরকম রিপোর্ট তাঁদের সুপ্রিমোকে দিতে পারতেন। ‘বেনোজল’ দেখার জন্যে গোয়েন্দার প্রয়োজন কেন পড়ল? এবার আরও নগ্ন ভাবে এই বিষয়টি সামনে এল।
Saturday, January 21, 2012
এবারে এক কিলো কম ঠান্ডা পড়েছে।
বেলা দশটা। ভজনের চায়ের দোকান আজ গুলজার। হরেক রকম লোক এসে জুটেছে আজ। চায়ের গেলাস কম পড়ে যাচ্ছে। ভজন ভাবছে, জয় মা, আর কিছু ভুলভাল বলো তুমি। তবে আমার চায়ের ব্যাবসা জমবে ভাল। ভজনের পেয়ারের কুকুর ভুলু। ভুলু ভেউ ভেউ করে ডেকে উঠল। অর্থাৎ আমিও আছি আড্ডায়। সেলুন খোলার আগে নিতাইও খানিকটা আড্ডা দেয় এখানে। নিতাই বলল, আজ ঠান্ডাটা কিন্তু জব্বর পড়েছে। প্রায় তিন কিলো হবে।
Friday, January 20, 2012
অসত্য সংবাদের জবাব কেমন হবে?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন। এর আগে তাঁর সমালোচকদের তিনি ‘কুত্তা’ বলেছিলেন। বেশ কয়েকবার সাংবাদিকরা তাঁর কাছে ধমক খেয়েছেন। তাঁর অনুগত সুব্রত বক্সী মহাকরণে বসে সাংবাদিকদের ‘দেখে নেব’ বলে শাসিয়েছেন। স্বৈরাচারীরা যখন শাসন করে তখন তাদের সমালোচকদের এবং সাংবাদিকদের গালমন্দ খেতে হবেই। গণতন্ত্রের গলা টিপে মারার ছক কষে তৃণভোজী দলটির সুপ্রিমো এখন কথায় কথায় সাংবাদিকদের ওপর চোটপাট করছেন। আটমাসের মধ্যে তাঁর দলের ছোট বড় নেতারা সাংবাদিকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, হয় আমাদের হয়ে কথা বল। নয়তো কাজ ছাড়ো।
Thursday, January 19, 2012
ছারখার করে দে মা, লুটে পুটে খাই।
গুড়ের ওপর মাছি বসেছে। চিটে গুড়। এক ঠিলি চিটে গুড়ের হাঁড়ি ভাঙল। হামলে পড়ল মাছির গুষ্টি। পাবলিক হয়রান। চারদিক মাছিতে ভ্যানভ্যান। মাছির ব্রেন বলে কিছু থাকেনা। মাছির মাথায় বুদ্ধি হয়না। তাই গুড়ের ওপর যে মাছির দল হামলা করেছে তাদের মাথায় বুদ্ধি নেই। মাছি রোগ ছড়ায়। মাছি মহামারীর বাহক। তাই পটাপট লোক মরছে। মাছির চোখ বড় বিচিত্র। যা দেখে সব টুকরো টুকরো দেখে। এই মাছির দলও তাই খন্ডচিত্র দেখে। মাছি তাড়াতাড়ি বাড়ে। এরাও বেড়ে চলেছে। মাছির সংখ্যা বাড়ছে। বড় মাছি। মেজ মাছি। সেজ মাছি। ন’ মাছি। ছোট মাছি। নেতা মাছি। মাতাল মাছি। আমলা মাছি। ঘাপলা মাছি। কানা মাছি। পাগলা মাছি। মাছিময় জগৎ।
Wednesday, January 18, 2012
ঘর করতে হলে কর, নইলে কেটে পড়
বিবি, তুমি আমায় লাথি মারো বা ঝ্যাঁটা মারো, আমি তোমায় ছাড়ছিনা। মেরেছো কলসীর কানা তা বলে কি প্রেম দেবনা? তা হয় নাকি গো! যতদিন রস আছে ততদিন রসিক থাকবে। কত্তা গিন্নির দাম্পত্য কলহ ছিল এতদিন ঘরের মধ্যে। ঘরের মধ্যেই চুপচাপ গোমাজি করত সবাই। কেউ টের পেতনা। কেউ গুমড়ে থাকত। কেউ দুমড়ে থাকত। কেউ এই সব দেখে পা দুলিয়ে বাদামভাজা খেত আর ভাবত বুঝি ‘এসব ঘরোয়া কোন্দল’ ওতে কান দিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ঘর থেকে এল বারান্দায়। পাঁচ কান হল। বারান্দা থেকে রাস্তায়। দশ কান হল। রাস্তা ধরে সোজা গড়গড়িয়ে বর কনের কোন্দল পৌঁছে গেল দিল্লি। মানে শ্বশুরবাড়ি!
Monday, January 16, 2012
লাগ ভেলকি লাগঃ বাবা রামদেব
বাবা রামদেবের যোগ শিক্ষা এখন শিকেয় উঠেছে। তিনি বর্তমানে রাজনৈতিক দল খুলে তার ‘চেয়ারম্যান’ হয়ে নিজের গন্ডা কয়েক চ্যানেলে ‘ভারত গড়া’র প্রবচন গেয়ে চলেছেন। আন্না হাজারে ল্যাং মেরে তাঁর আন্দোলন থেকে বাবাকে মাঠের সাইড লাইনে বসিয়ে রেখেছেন। গেরুয়া বস্ত্রধারী বাবা রামদেব জড়ি বুটির ওষুধ তৈরী করে বিপুল টাকা ট্যাঁকে গুঁজে ভারত ‘উদ্ধার’ করতে মাঠে নেমেছেন। শুকনো পাতা বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তি পাহারা দিতে তাঁকে রাজনেতা হতেই হবে। নইলে তাঁর সম্পত্তির ওপর শকুনের হামলা হতেই পারে।
চলো গড্ডলিকায় তুমি আর আমি ভেসে বেড়াই
সরকার পরিবর্তনের প্রায় আট মাসের মধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এবং তার আমলারা পরিবর্তনের জোয়ারে ঢলে পড়লেন। দিনের দিন রাজ্যে অশান্তি বাড়ছে। কৃষকদের দেনার দায়ে আত্মহত্যা এ রাজ্যে নতুন বিষয়। ইদানীং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজনীতি সরিয়ে দিতে গুন্ডামিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের মন্ত্রীরা সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে কথায় কথায় ‘ফন্দীগ্রাম’ দেখাচ্ছে। জোট সরকারের শরিকি কোলাহল তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি জ্বলতে শুরু করেছে। মানুষ বিপদে পড়ছে। কিছু গরীব মানুষ এর মধ্যেই যাঁতাকলে পড়ে গেছে। নীতিহীন দলের সরকারের খামখেয়ালিপনার মাশুল গুনতে হবে এ রাজ্যেরই মানুষকে। এই সুযোগে সরকারি আমলারা এবং আরও অনেকে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন।
Thursday, January 12, 2012
মমতাবাবু তাঁর সমালোচকদের 'কুত্তা' বললেন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কি ‘বিবি’ থেকে ‘বাবু’ হয়ে গেলেন? ব্যাকরণের ভুল। তিনি 'বিবি' না। তাঁকে লোকে দিদি বলে ডাকেন। তিনি আজকাল তাঁর ভাষা আর সংযত রাখতে চেষ্টা করছেন না। তাঁর একটি জেদ আছে। তাঁর বিপক্ষ যদি বলে এই কাজটি ভুল হয়েছে, তবে তিনি ঐ কাজটি আবার এবং বারবার করে বোঝাতে চান যে ঐ কাজটি ঠিক ছিল। জোট শরিক কংগ্রেস দিনের দিন তাঁর বিপক্ষ হয়ে উঠছে। কংগ্রেস বলছে ভাষা সংযত করতে তাই তিনি আরো অসংযত হয়ে আরো জেদী হয়ে উঠছেন।
Sunday, January 8, 2012
'ঘর' ভাঙার ঝগড়া চলছেনা
কংগ্রেস আর মমতার দলের মধ্যে যে ‘রাগঝাল’ চলছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের কিছু নেতা অখুশি থাকলেও দিল্লির আদেশে ‘বাঘে’ আর গোরুকে এক ঘাটে জল খেতে হবে। বলা বাহুল্য, মমতা সেদিন হকারদের কাছে নিজেকে ‘বাঘের বাচ্চা’ বলে জাহির করে এসেছেন। কংগ্রেসের কাছে এখন ঠ্যালার নাম ধনঞ্জয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম পশ্চিমবঙ্গের জোট সরকারের রাজনৈতিক কলহকে ‘দাম্পত্য কলহ’ কখনো বা ‘ঝগরুটে দম্পতি’ বলে আখ্যা দিয়ে রসিকতা শুরু করে দিয়েছে।
Wednesday, January 4, 2012
সাবধান। বাঘের বাচ্চা ঘাড় মটকাতে পারে
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নিজেকে ‘বাঘের বাচ্চা’ বলে ডাকাডাকি করলে অপরিচ্ছন্ন লাগে। বাঘ একটি পশু। অন্যান্য পশুর চেয়ে ক্ষিপ্র এবং নিষ্ঠুর। মানুষের বাচ্চাও যদি নাগালে পেয়ে যায় তবে ঘাড় মটকাতে কাল বিলম্ব করেনা কোন বাঘের বাচ্চা। কোন মানুষ যদি নিজেকে বাঘের বাচ্চা বলেন তবে বুঝতে হবে সেই মানুষের মনে দম্ভ ও নিষ্ঠুরতাই তাঁকে এই কথা বলার জন্যে প্রেরিত করছে। নিজেকে ‘বাঘের বাচ্চা’ বলে জাহির করা কিন্তু সভ্য সমাজে অশ্লীল বলেই গণ্য হয়। মনমোহন সিং যদি পার্লামেন্টে বলে দেন, ‘আমার থেকে দূরে থাকুন, আমি একটি সিংহের বাচ্চা’ কেমন লাগবে শুনতে! চিদম্বরম মশাই যদি দিল্লির চাঁদনি চকে দাঁড়িয়ে চেঁচান, “আমাকেও চিনে রাখুন, আমি একটি বাঘের বাচ্চা।”
Subscribe to:
Posts (Atom)