Flickr Gallery

Sunday, October 6, 2013

সরকারের হিট লিস্টে মাওবাদীরা


সম্প্রতি ছত্রিশগড়ে মাওবাদী হামলায় কংগ্রেসদলের কয়েকজন নেতার মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর এই নির্দেশে ঝাড়খন্ডেররাজ্য পুলিশ বিহার ও ঝাড়খন্ডে নাশকতায় সক্রিয় মোট দশজন শীর্ষ মাও নেতৃত্বের তালিকা তৈরি করেছে। বলা বাহুল্য, আগে থেকেই পুলিশের নজরে আছেন মাওবাদী পলিটব্যুরো এবং সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যরা।

পলিটব্যুরো সদস্যঃ

গণপতি ওরফে চন্দ্রশেখর
প্রশান্ত বোস ওরফে কিশন দা
বাসবরাজ ওরফে জগন্নাথ
আনন্দ ওরফে বিরেন্দ্র
ভূপতি ওরফে সোনু

সেন্ট্রাল কমিটি সদস্যঃ

চৈতন্য ওরফে দেবু
প্রয়াগ ওরফে বিবেক
মিসির বেসরা ওরফে সুনির্মল


প্রশান্ত বোস ওরফে কিশনদাঃ সত্তরোর্ধ্ব এই মাওবাদী পলিটব্যুরো নেতা ঝাড়খন্ডের গিরিডির পীরটাঁড় থেকে সংগঠনের কাজ করতে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ঝাড়খন্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্বের রাজ্যসমূহের ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর প্রধান।

মিসির বেসরা ওরফে সুনির্মলঃ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্য মিসির বেসরাকে একবার ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচী সংলগ্ন খুঁটি জেলা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের কিছুদিন পরে একটি মামলার আসামী হিসেবে বিহারের লক্ষীসরাই নিয়ে যাওয়ার পর মাওবাদীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর এই নেতা বহুদিন ঝাড়খন্ডের সারান্ডা জঙ্গলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রশান্ত বোসের সঙ্গে উড়িষ্যায় আছেন।



দেবকুমার সিং ওরফে অরবিন্দঃ বিহারের জাহানাবাদ নিবাসী অরবিন্দ ওরফে নিশান্ত ওরফে দেবকুমার সিং বিহার-ঝাড়খন্ড-উত্তর ছত্তিশগড়ের এরিয়া কমিটির প্রধান। পুলিশ সূত্রে খবর অরবিন্দের পদোন্নতি হতে চলেছে। তিনি পলিটব্যুরোর সদস্য হয়ে যেতে পারেন। ঝাড়খন্ডের পালামৌ, লাতেহার ও গঢ়বা এবং বিহারের গয়া, ঔরঙ্গাবাদ ও সাসারামেরসম্প্রতি মাওবাদী নাশকতায় এই নেতার মুখ্য ভূমিকা ছিল।


কুন্দন পাহনঃ ২০০৮ সালে ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচীর অদূরে অবস্থিত বুন্ডু-তামাড় অঞ্চলে চারটি জঘন্যতম মাওবাদী নাশকতায় অভিযুক্ত এই উঠতি নেতা। বিধায়ক রমেশ সিং মুন্ডার হত্যা, ডিএসপি প্রমোদ কুমার সহ ১১জন পুলিশকর্মীর হত্যা, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের টাকা সরবরাহের গাড়ি থেকে দিনের বেলায় পাঁচ কোটি টাকা লুঠ এবং ইন্সপেক্টার ইন্দিবর ফ্রান্সিস-এর গলা কেটে হত্যায় কুন্দন সরাসরি যুক্ত।বর্তমানে কুন্দন অসুস্থ আছেন এবিং অড়কি এলাকা ছেড়ে তিনি এখন বীরবাঁকী অঞ্চলের জঙ্গলে বসবাস করছেন।


সন্দীপ যাদবঃ মাওবাদী সংগঠনের বিহার-ঝাড়খন্ডের মধ্যাঞ্চলের জোনাল কমান্ডার। এই অঞ্চলের মধ্যে গয়া, ওরঙ্গাবাদ এবং পালামৌ জেলা পড়ছে।

অজয় মাহাতোঃ মাওবাদী নেতা নবীন মাঝির মৃত্যুর পর অজয় মাহাতো ছোটনাগপুর অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। এই অঞ্চলে চাতরা, হাজারিবাগ ও বোকারো জেলা পড়ছে।

অনুপ ওরফে পারবেজঃ গিরিডি কোর্ট হাজত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে নাটকীয় ভাবে ২০১২ সালে মাওবাদীরা তাঁদের এই নেতাকে মুক্ত করেন। বর্তমানে অনুপ বিহারের জমুই-বাঁকা অঞ্চলের জোনাল কমান্ডার।সম্প্রতি ধানবাদ পাটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের হামলার পেছনে এই নেতার হাত থাকতেপারে।

বিবেকঃ ইনি মাওবাদী সংগঠনের স্পেশাল এরিয়া কমিটির সদস্য। পুলিশ সূত্র অনুসারে বিবেক ঔরঙ্গাবাদে থাকেন এবং পালামৌ ও লাতেহারের নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
বাংলা ব্লগ জগতের সিন্ধুতে আমরাও একটা বিন্দু। নেট ঘেঁটো বাঙালির আপ্যায়ণে বড় হচ্ছে। শৌভিকের লেখা পড়তে এই ব্লগে যান LEKHASHAUBHIK.BLOGSPOT.COM