Flickr Gallery
Monday, February 22, 2021
পেট্রোলের দাম বাড়লেই দেশের মঙ্গল
গোদিজির আমলে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে কেউ আপত্তি জানাবেন না। ফেসবুকে বললে আইডি ব্লক হয়ে যেতে পারে। ওটা আবার ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডকে সাবস্ট্যান্ডার্ড করে দিতে পারে। আসলে পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে গোদিজি ভাল কাজ করেছেন। অন্যান্য জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে পেট্রোলের দাম বাড়ানো প্রয়োজন ছিল।
মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আমার একটা অর্থনৈতিক তত্ত্ব আছে। ভেরি সিম্পল। এন্টায়ার ইকনমিক্স নিয়ে আমার পিএইচডি আছে। আমার কাছে ইনফ্লেশন ঠেকানো ঠিক ট্রাফিক পুলিশে হাতের ইশারায় একসঙ্গে তিরিশটা গাড়ি থামানোর সমান।
খুব সোজা। লরির সামনে একটা গরু বেঁধে দিন। গড়গড়িয়ে হিল্লি দিল্লি করা যাবে। কলকাতা থেকে বাসে করে দীঘা যাবেন তো! বাসেই যাবেন। পেট্রোল ছাড়াই যাবেন। বাসের সামনে দুটো গরু বেঁধে দিন। একটু দেরি করে পৌঁছোবেন। কিন্তু ক্ষতি কিছু হবেনা। বাস থেকে নেমে মাঝে মাঝে গোবর ঘাঁটার সুযোগ পেয়ে যাবেন। গোবর থেকে শুধু সোনা কেন! ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম সব ফাউতে পেয়ে যাচ্ছেন। মানিব্যাগে দুটো পাঁচশো টাকার নোট নিয়ে গেলেন। আর ফিরে এলেন ইউরেনিয়াম, সোনাদান সব বোঝাই করে। আগে এসব সম্ভব ছিলনা। ট্যাঁকের টাকা ট্যাঁকেই থেকে গেল। রথ দেখলেন। কলা বেচলেন। উল্টে তিন কাঁদি কলা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। এর সঙ্গে থোড় আর মোচা ফাউ। এরকম আগে চিন্তাই করা যেতনা। নিউ ইন্ডিয়াতেই সম্ভব হতে যাচ্ছে।
যদিও গাড়ি টানে বলদে। কিন্তু আজকাল বলদ বললে একটা গোষ্ঠী ক্ষেপে যায়। কাউকে ক্ষ্যাপানো তো আমার উদ্দেশ্য নয়। তাই গরুই গাড়ি টানে ভাবুন। গরুকে খড় খাওয়ালেই ল্যাটা চুকে যায়। মূল্যবৃদ্ধি কমানোর জন্যে আমার তত্ত্বকে কেউ খেলো মনে করবেন না। দেশের জন্যে যদি বিন্দুমাত্র ভক্তি থাকে তবে গরু নিয়ে হাসাহাসি করবেন না।
গরুতে লরি টানলে পেট্রোল লাগছেনা। তাই পেঁয়াজের দাম ধপ করে কমে যেতে বাধ্য। যৎসামান্য মূল্যে আড়াই কিলো আলু কিনতে পারবেন । বাড়তি যে টাকাটা বাঁচাতে পারলেন সেই টাকা দিয়ে বস্তা বোঝাই করে উচ্ছে, বেগুন, পটল আর মুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসুন।
বাড়ি যারা করছেন তারা জানেন বালির দামের চেয়ে গাড়িভাড়া বেশি। বালি আনতেও খরচ কমানো যাবে। সমাধানে সেই গরুর গাড়ি। কারখানা খুলবেন ভাবছেন! লোহালক্কড়, মেশিনপত্তর আনানোর কথা চিন্তা করছেন দূর থেকে? চিন্তা করবেন না। গরুকে যদি ভরসা করতে পারেন তবে গরুর টানা গাড়িতেই ভরসা রাখুন। এত দূর থেকে গরু আপনার জন্যে ঢাউস একটা মেশিন বয়ে এনে দিতেই পারে।
গরুর ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করবেন না। গরুকে তাচ্ছিল্য করতে যাবেননা। গরুকে তাচ্ছিল্য করা মানে দেশের ইমেজ খারাপ হয়ে যাওয়া। আর দেশের ইমেজ যদি খারাপ করেছেন তবে আপনি দেশদ্রোহী। দিশা রবি বলে একটা একুশ বছরের মেয়ে দেশের ইমেজ খারাপ করে জেলে আছে। আজকেই একটা ছোকরা পেট্রোল পাম্পে তেলের দাম জিজ্ঞাসা করে দেশের ইমেজ খারাপ করে দিয়ে কেস খেয়েছে। দেশের ইমেজ ভাল করার জন্যে গরুকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। গরুকে শ্রদ্ধা করা মানেই তো দেশভক্তি। গরু সব পারে গরু যখন দেশ চালাতে পারে তখন কি আর বাস লরি চালাতে পারবেনা! কি যে বলেন দাদা!
Sunday, May 17, 2020
আত্মা নির্ভর দুঃসাহসী আক্ষেপ ও সংস্কার
সজনে গাছের মগডালে ওঠার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে একবার আমাকে অনেক আক্ষেপ করতে হয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে দুটাকার বিড়ির বাজি রেখে আমি তরতর করে সজনে গাছের মগডালে চড়তে শুরু করেছিলাম। বেশি দূর উঠতে পারিনি। তার আগেই গাছের মালিককে রে রে করে তেড়ে আসতে দেখে আমার বন্ধুরা আমাকে একলা ফেলেই ভ্যানিশ হয়ে গেল। গাছের মালিক বড় ডান্ডা নিয়ে নারকেল খোঁচানোর মতো আমাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলল। মালিকের রাগ ঠান্ডা হতে না হতেই মালিকের ছেলে নিচে থেকেই ঢিল ছুঁড়ে আমার ডান হাতটা অকেজো করে দিল। এরপর মালিক গিন্নিকে ফুটন্ত গরম জল নিয়ে তেড়ে আসতে দেখে গ্রামের লোক আর স্থির থাকতে পারলনা। আমার সমর্থনে ওদের তিনজনের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দিল। সেই সুযোগে আমি কষ্ট করে গাছ থেকে মাটিতে নেমে কেটে পড়ে সে যাত্রায় নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলাম। তাই যে যখনই একটা করে সাহসী পদক্ষেপ নেয় আমার মনে পড়ে যায় সজনে গাছের মগডালে ওঠার মতো সাহসের কথা।
কড়া পদক্ষেপ নিয়েও আমার অভিজ্ঞতা অসীম। আমি জানি রাত আটটায় টিভিতে ঘোষণা করে সেই ঘোষণা ঠিক রাত বারোটা থেকে বাস্তবায়িত করার নাম কড়া পদক্ষেপ। ঠেকে শিখেছি। ঠকে শিখেছি এসব। টাকা বাতিল হওয়ার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আমি কেন দেশটাও কম ভুগছেনা। আমি আজকাল ‘ঠিক রাত বারা বাজে’ শুনলেই ক্ষেপে যাই। দুশ্চিন্তায় মনটা কেঁপে কেঁপে ওঠে। ছাপোষা পাবলিক ভাই। ঠিক রাত বারোটার পরেই হয়তো আমাকে দুহাজার মাইল হেঁটে ঘরে ফেরার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। হয়তো উপোস করে জল না পেয়ে মাইলের পর মাইল খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে মাঝরাস্তায় লরির ধাক্কায় মরে খবর হয়ে যেতে হবে। কিংবা পুলিশের লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটিয়ে আবার সাহস করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।
আত্মনির্ভর হওয়া কাকে বলে তা এবার বুঝতে পারছি। আত্মনির্ভর হতে গেলে সাহসী আর কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ‘সংস্কার’ করতে হবে। কেউ যদি আত্মনির্ভর হতে চায় তবে প্রথম দফায় নিকট আত্মীয়দের হাতে বাড়ির আসবাবপত্র বেচে দিতে হবে। তারপর নিজের জামা কাপড় বেচে দিন। তারপর শুরু করুন সংস্কারের কাজ। হেঁসেলটার ৯০% সংস্কার করে ফেলুন। অর্থাৎ নিকট আত্মীয়দের কাছে বন্ধক রেখে দিন। নয়তো ৭৯% বেচে দিন। তারপর বাড়িটার ৫০% সংস্কার করে ফেলুন। মানে বিক্রি করে দিন। এইসব সংস্কার পুরো হয়ে গেলে যখন আর কিছুই বিক্রি করার মতো থাকবেনা তখনই আপনি সঠিক ভাবে আত্মনির্ভর হয়ে যাবেন। কারণ আপনার কাছে আর কিছুই তো থাকল না। নিজের ওপর নির্ভর না করলে আপনার আর কোন উপায় থাকল না।
আমাদের দেশ আত্মনির্ভর বা স্বনির্ভর ছিল নাকি হবে তা নিয়ে আমার কোনও চিন্তা নেই। তবে দেশটা আত্মার ওপর নির্ভর হয়ে গেছে সেটুকু বুঝতে পারা যায়। একদিকে রামের আত্মা জেগে উঠেছে। আরও নানারকম আত্মারা গাছ থেকে নেমে আসছে। মামদোবাজি চলছে। দেখাদেখি রোজ রাত আটটার সময়ে এক সশরীরি আত্মা একের পর এক সাহসী আর কড়া পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। একের পর এক সংস্কার করেই চলেছে। এইসব নিয়ে আমার কোন ভ্রূক্ষেপও নেই। আমি বিন্দাস আছি ভাই। করোনার ভয়ে বাড়িতে বসে আছি আর গুলগল্প ফেঁদে যাচ্ছি। আর কেঁদে যাচ্ছি।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ও আমরা
আমরা এখন ১০২ নম্বর. আমাদের নিচে আর পনেরোটা দেশ আছে। ওপরে ১০১. হ্যাঁ। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের কথাই বলছি। ২০১৯ সালের রিপোর্ট। ওদের পোর্টালে পেয়ে যাবেন। এর মধ্যেই করোনার কাশি। আমাদের পৃথিবীর জন্যে এক হাড়হিম করা ভবিতব্য অপেক্ষা করে নেই তো!
‘মেরা ভারত মহান’ মানে যদি আমি বলি কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন! ভুল হবে কি? ‘ক্ষিধে ক্ষিধে’ করছি বলে আমাকে হ্যাংলা ভাবলে কোন আপত্তি নেই। যার ক্ষিধে পায় সেই বোঝে ক্ষিদের কি জ্বালা! আমি একবার পচা শসা কুচি দিয়ে ঝালমুড়ি খেয়ে ক্ষিধে মিটিয়েছি। এখনো অনেক মানুষ আছে যারা রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া খাবার কুড়িয়ে খায়।
Monday, October 7, 2019
এখন আমরা পদ্মফুলের পেঁয়াজি খাচ্ছি
পুরোন দোকানদারের পেঁয়াজির ওপর ছিল দুর্নীতির আস্তরণ। দেওয়া হত কর্পোরেট প্রীতির ঠোঙায় ভরে। তাতে লঙ্কার বদলে ছিল গরীবগুর্বোদের প্রতি সমবেদনা। এই একরকম পেঁয়াজি বছর ষাটেক ধরে খেয়ে খেয়ে মানুষের মুখ হেজে গিয়েছিল। স্বাদ বদলানোর জন্যে মানুষ চাইছিল নতুন ধরণের পেঁয়াজি। সঠিক সময়ে আরেক দোকানদার বাজারে নিয়ে এল পদ্মফুলের পেঁয়াজি। এতে পেঁয়াজের বদলে দুর্বল মানুষের কুচি মেশানো। বেসনের বদলে ধর্মের গুঁড়ো। লঙ্কার বদলে তিন তালাক। নুনের বদলে রামমন্দির। তার মধ্যে মেশানো হল ‘ব্যান ৩৭০’ ব্র্যান্ডের মশলা।
Saturday, September 21, 2019
আমার তো সেটিং হয়ে গেছে আর আপনার?
বাজার থেকে একটা নরম টাইপের ফ্লেক্সিবল শিরদাঁড়া কিনে পরে ফেললেন। পুরোন শিরদাঁড়া পালটে ঘরে রেখে দিলেন। ফেলে দিলে বিপদ আছে। যখন সোজা ও শক্ত শিরদাঁড়া লাগাতে হবে তখন আবার কিনতে হতে পারে। খরচ আছে। মন্দার বাজারে এত খরচ করা ঠিক না। তারপর দিদিভাই এক হাঁড়ি রসগোল্লা কিনে আর একজোড়া ধুতি কিনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সটান দাদাভাইয়ের বাড়ি। এই নিয়ে পাড়ায় গেল গেল রব উঠল। সবাই চেঁচামিচি শুরু করে দিল।
Tuesday, September 17, 2019
এক মত এক পথ, হেঁটমুন্ড ঊর্ধ্বপদ
উলটোপালটা কথা বলার প্রতিযোগিতা চলছে। মানুষ বোকা হয়ে সেই কথা গোগ্রাসে গিলে যাচ্ছে। গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ মন্দা নয়। কারণটা অ্যাপ ক্যাব! চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না, তার কারণ চাকরি নেই এমনটা নয়। কারণ চাকরি করার মতো যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না! ‘এক দেশ এক আইন’ ব্যাপারটা সততার সঙ্গে পালন করলে খারাপ কিছু হবেনা। কিন্তু এক দেশে একটাই খাবার! এক দেশে একটাই ভাষা! এক দেশে একটাই পোশাক! এসব শুনতে হচ্ছে। না শুনতে পেলেও শুনতে হবে। এক দেশ একটাই মত। এক দেশ একটাই পথ। এসব শোনার দিন চলে এসেছে। ‘যত মত তত পথ’-এর তত্ত্ব ছেড়ে দেশ এক মতের আর একটাই পথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
ভাষা বিতর্ক উস্কে দিয়ে তাতে খানিকটা বিভ্রান্তি ফুঁকে দিয়ে দেশের ঐক্য মজবুত করার জন্যে ঘি ঢেলে দেওয়া হয়েছে। মাতৃভাষার আবেগে কাশতে কাশতে, অভিমানের চোরাস্রোতে ভাসতে ভাসতে নৌকা বোঝাই সমস্যা নিয়ে মানুষ নদীর মোহনায় এসে সমুদ্রের ঢেউ গুনছে। কান্ডারি রাতারাতি তার সমাধান করে দিচ্ছে। মাঝরাতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। রাতারাতি অর্থনীতি পাঁচতলায় চড়ে গেছে। কালোটাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গেছে। এবার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পেলে সেখানে আর ‘চারডি’ ইন্ডাস্ট্রি হলে আর সমস্যা থাকবেনা দেশে। এসব উলটোপালটা চিন্তা মাথায় এলেই মগজটা আহ্লাদে নাচতে শুরু করে দিচ্ছে।
এই মঞ্চে আমরা সবাই নাচনদার আর বাজনদার। ঢোল করতালে ‘ওম’, ‘ব্রাহ্মণ’, ‘রাম’, ‘তিন তালাক’-এর ধুন। পরিবেশে ‘গোরু’, ‘চোনা’ আর ‘গোবর’-এর গন্ধ। নাওয়া খাওয়া ভুলে দেশপ্রেমের কলার তুলে আমরা নেচে যাচ্ছি। আমরা চতুষ্পদের মতো চার পা ঠুকে নাচছি। আমরা লেজ নাড়িয়ে নাচছি। সাম্বা নাচতে গিয়ে আমরা হাম্বা নাচছি। আমরা কাশ্মীরে নাচছি। আমরা আসামে নাচছি। আমরা চাঁদে গিয়ে নাচছি। আমরা মন্দায় নাচছি।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে গেলে সব কিছুই উলটো লাগছে। তাই হেঁটমুন্ড ঊর্ধ্বপদ হয়ে দেখছি এবার দেশটাকে। এবার বেশ সোজা সোজা লাগছে সব কিছু। মেরুদন্ড সোজা রাখলে সব কিছুই আঁকাবাঁকা দেখছি। তাই মেরুদন্ড বেঁকিয়ে নিয়ে মানিয়ে নিচ্ছি পরিবেশের সঙ্গে। উলটোপালটা লিখে রেখে গেলাম। যারা সোজা হয়ে পড়বেন তাঁরা মাথামুন্ডু খুঁজে পাবেন না।
Monday, September 9, 2019
ফেকুচন্দ্র ভেকুচন্দ্র নেকুচন্দ্র সেকুচন্দ্র চিনে নিনঃ মাকুচন্দ্র
রাজা ফেকুচন্দ্রের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে চাঁদের হাট বসেছিল। একশ্রেণির দার্শনিকের মতানুযায়ী ফেকুচন্দ্র রাজা নিত্যদিন অসাড় ও কাল্পনিক বাক্যবাণ ছুঁড়তেন। হিন্দিতে ‘ফেকনা’ মানে ছোঁড়া। যেমন ‘বল ফেকো’ অর্থাৎ বল ছোঁড়। যারা কথায় কথায় লম্বা চওড়া হাঁকতে জানে তাদের চলতি হিন্দিতে ‘ফেকু’ বলা হয়। রাজা ফেকুচন্দ্র হাত পা ঠুকে তাঁর কাল্পনিক বাক্যবাণে ভক্তকূলকে মোহিত রাখতে জানতেন। আবার অন্য এক শ্রেণির দর্শন বলছে ইংরিজির ‘ফেক’ বা নকল শব্দ থেকেই রাজা ফেকুচন্দ্র নামকরণ হয়েছে। সাধারণ প্রজাসকলের মানসে নিজের প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে রাজা ফেকুচন্দ্র এমন কিছু বলতেন যা তিনি ছিলেননা। তিনি তাঁর সাহসের উদাহরণ দিতে পুকুর থেকে কুমীর ধরে বাড়িতে নিয়ে আসার কথাও বলেছিলেন।
যন্ত্রপুত্র বিক্রম কি কাশ্মীরে নেমেছে?
যন্ত্রপুত্র চন্দ্রযান-২ বিক্রম চাঁদে নেমে পড়েছে। সেই 'ল্যান্ডার' বিক্রম ছেড়ে আরেকটা যন্ত্র চাঁদের মাটিতে চলতে শুরু করেছে। নাম তার 'রোভার' বা প্রজ্ঞান। রোভার-এর ভেতর থেকে একটা থার্মোমিটার বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটির ভেতরে ঢুকে ঢুকে ওখানকার তাপমাত্রার তারতম্য মাপার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ক্যামেরাগুলো মাটির ভেতরের ফটো নিচ্ছে আর ফটাফট পাঠিয়ে দিচ্ছে ইসরো’র কন্ট্রোল রুমে। তাই থেকে বিজ্ঞানীরা সেই মাটিতে থাকা খনিজ সম্পদের বিশ্লেষণ করছেন। যন্ত্রটা চন্দ্রপৃষ্ঠের ভূকম্পন মেপেই চলেছে। ডাটা পাঠাচ্ছে। এই কাজগুলোই করতে পারত আমাদের যন্ত্রপুত্র বিক্রম। কিন্তু যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। যন্ত্রপুত্র কি করছে বা কেমন আছে আমরা কেউ জানিনা।
আমরা কি বৈদিক যুগের খুব কাছাকাছি?
গোরুর গাড়ির গাড়োয়ানকে দেশ চালাতে বলা হল। তারপর কি কি হল! একটু ধৈর্য্য ধরুন। আপনিও বুঝতে পারবেন কেমন দশা হল। প্রথমেই দুটো গোরুকে দেশের আগায় বেঁধে দেওয়া হল। একদিকে একটা চতুষ্পদ গোরু। যার লেজ আছে। আরেকদিকে রাখা হল ভক্তিরসে ডুব দিয়ে শুদ্ধ হওয়া শিং গজানো ভক্তকূল। যার লেজ নেই। গোরু না বাঁচালে দেশ কেমন করে চলবে? এই ধারণা সকলের মনের মধ্যে গেঁথে দেওয়া হল। দেশের এই দুই মহান চালিকাশক্তিকে রক্ষা করার জন্যে গোরক্ষক তৈরি হল। আর তৈরি হল অসংখ্য গোশালা বা খাটাল। গোরুই আমাদের ভবিষ্যতের কর্ণধার। এইরকম একটা ধারণা তৈরি হয়ে গেল। সবাই বুঝতে শুরু করলাম গোরু না থাকলে দেশ চলতে পারেনা।
Subscribe to:
Posts (Atom)