১৮ নভেম্বরঃ খাদ্য ভবনে মাওবাদী পোস্টার দেখে মমতা বললেন “এটা যৌথ চক্রান্ত”. তবে তিনি স্পষ্ট বলেননি কোন কোন দলের যৌথ চক্রান্ত। পরে সুযোগ বুঝে হয় সিপিএম নয় কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে দেবেন বলেই হয়তো বলেননি। বুদ্ধদেবের আমলে তিনি এই ধরণের পোস্টার দেখেননি বলেই তাঁর মনে হয়েছে এটা যৌথ চক্রান্ত। অনেকে বলছেন নিজের হাত থেকে মাও গন্ধ মুছে ফেলতে আজকাল তিনি অনেক রকম আকার ঈঙ্গিত করছেন। এটা তারমধ্যে একটা।
তিনি বললেন, “যৌথ চক্রান্ত চলছে। গড়বেতা-কেশপুরের ঘটনার সময়েও আমার এই সন্দেহ ছিল। কে মার্ক্স, কে মাও আমি বুঝতে পারি না। আমি মতাদর্শটাও বুঝতে পারি না। কারা আজ মার্ক্স আর কাল মাও, তা-ও বুঝতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “যারা তর্ক-বিতর্ক করতে, রাজনৈতিক লড়াই লড়তে ভয় পায়, তারাই কখনও এখানে বসে, কখনও দিল্লিতে বসে চক্রান্ত করছে!” তাঁর কাছে কিছু তথ্য আছে বলেই তিনি জানান। তিনি আরও জানান “আমি বামপন্থীদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কারা আজ মার্কস আর কাল মাও, তা-ই বুঝতে পারি না।” খাদ্য ভবনে মাওবাদী পোস্টার পড়া নিয়ে তদন্ত হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “খাদ্য দফতরের কোনও কর্মীরই হাত আছে। তিনি নিশ্চয়ই ওখানকার ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। এবং সেটা নিশ্চয়ই তৃণমূলের বা অন্য জাতীয়তাবাদী ইউনিয়ন নয়। নিশ্চয়ই যারা আমাদের সম্পূর্ণ বিরোধী, তাদেরই ইউনিয়ন।” তিনি হাতের লেখা দেখেই ধরে ফেলেছেন "এরা কারা"।
কারণ তিনি দেওয়ালে দেওয়ালে এদের হাতের লেখা দেখেছেন।
মমতার মাথার মধ্যে আজকাল গোয়েন্দা ভর করেছে। কিন্তু তিনি যে মার্ক্সবাদের বিন্দুমাত্র বোঝেননা এটা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। তাই তিনি মাও-মার্ক্স বলে আজকাল যে সব মন্তব্য করছেন তা ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও চলে। তিনি মৃত্যুকে ভয় পাননা। তিনি বলেছেন, “জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কথা (পড়ুন কোথা) কবে।” এই অদম্য সাহসী মহিলাটির মিথ্যের ফুলঝুড়ি দেখে মনে হয় তিনি সত্যিই মৃত্যুকে ভয় পান এবং ওই ভয়ে উনি প্রলাপ বকেন।