লুম্পেন জার্মান শব্দ। ১৮৪০ সাল নাগাদ এই শব্দটা কার্ল মার্ক্স ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রতিবিপ্লবীদের সমালোচনা করতে এই শব্দটা ব্যবহার করতেন। শব্দটা ইংরেজি ভাষাতেও চলে এসেছে। ইংরেজি ডিকশনারিতে ‘লুম্পেন’ বোঝাতে বলা হচ্ছে যারা নির্বোধ এবং সুশিক্ষিত নয় এবং যারা তাদের অবস্থার পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের কল্পনা ও চেষ্টায় নিরুৎসাহী। লুম্পেন শব্দটা এখন সারা পৃথিবীতে একটি সুপরিচিত শব্দ। কোথাও খুঁজে পেলামনা কিন্তু ‘লম্পট’ শব্দটার মধ্যেও কোথাও লুম্পেন লুকিয়ে আছে।
লুম্পেন শব্দটাকে সর্বঘটে কাঁঠালি কলার মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা শুনে এসেছি লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বলে একটা শব্দ। এই নিয়ে প্যানপেনিয়ে লাভ নেই। বলা যায় যারা নিজের শ্রেণি ভুলেছে আর সবচেয়ে বেশি গালাগালি যারা নিজের শ্রেণিকেই দেয় তারা এই জাতের মধ্যে পড়ে।। যারা সবচেয়ে কুৎসিত সমালোচনা নিজের শ্রেণিকে নিয়েই করে তারাও এই জাতের । মনে করুন, সহস্রকোটিপতি কোন ব্যাবসাদার ভোটে দাঁড়াল আর একজন রিক্সাচালক নিজের শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করা প্রার্থীর বাপান্ত করতে করতে নিজের ভোটটা সেই ব্যাবসাদারকে দিয়ে দিল। এইরকম নির্বোধ শ্রেণিকে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বলা যায়। এই শ্রেণিকে ‘লুম্পেন মালিক’শ্রেণি ব্যবহার করে।
লুম্পেন মালিক বলতে গেলে বলতে হয় তেমন কোন ব্যবসায়ী বা ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট বা পুঁজিপতি যে শ্রমিকের কাজের ঘন্টার অধিকার দিতে অস্বীকার করে এবং ওই শ্রেণিকে দিয়ে স্বল্প পারিশ্রমিকে বেশি করে খাটিয়ে নেয়। এরা শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত যত বাড়ে লুম্পেন মালিকদের সম্পদ বাড়াতে ততই সুবিধে হয়। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত নির্বোধ হয় বলে লুম্পেন মালিকের সঙ্গে তাদের কোন বিরোধ বাধেনা।
<>
লুম্পেন বুর্জোয়া বা লুম্পেন মালিক যে শুধু লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের ঠকিয়ে কাজ আদায় করে তাই নয়, তারা দেশের সম্পদ চুরি করে। রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সুবিধে মত আইন সংশোধন করিয়ে নেয়। দেশের সম্পদ চুরি করে তারা বিদেশেও চম্পট দেয়। রাষ্ট্রের সম্পত্তি নিজেদের কুক্ষিগত করে। লুম্পেন নেতাদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। এরা লুম্পেন নেতাদের অর্থ সাহায্য করে। এবং রাষ্ট্রশক্তি নিজেদের অধীনে করার চেষ্টা করে।
লুম্পেন নেতারা দেশের মানুষকে আসল সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এরা বিরোধী মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হিংসার প্ররোচনা দেয়। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের সাহায্যে এরা হিংসা ছড়ায়। এই শ্রেণির সঙ্গে লুম্পেন বুর্জোয়া শ্রেণির সখ্যতা তৈরি হয়। এই দুটো শ্রেণি মিলে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের সমর্থনে রাষ্ট্রক্ষমতা অধিকার করে। তাই এই দুটো শ্রেণি সবসময়ে চায় যেন দেশে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বাড়তেই থাকে। অরাজকতা যেন বাড়তেই থাকে।
লুম্পেন মিডিয়া এইসব শ্রেণিকে সাহায্য করে। প্রোলেতারিয়েত শ্রেণির মধ্যে তারা আজগুবি স্বপ্ন দেখিয়ে, অবাস্তব গল্প শুনিয়ে আর বিভেদের গান গেয়ে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত-এর সংখ্যা বাড়াতে থাকে। লুম্পেন মিডিয়া এই দুটো শ্রেণির বাদ্যযন্ত্র হিসেবে কাজ করে। বাজনা বাজাতে লুম্পেন মিডিয়া এই দুই শ্রেণির কাছ থেকে পারিশ্রমিক আদায় করে নেয়।
লুম্পেন শব্দটাকে সর্বঘটে কাঁঠালি কলার মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা শুনে এসেছি লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বলে একটা শব্দ। এই নিয়ে প্যানপেনিয়ে লাভ নেই। বলা যায় যারা নিজের শ্রেণি ভুলেছে আর সবচেয়ে বেশি গালাগালি যারা নিজের শ্রেণিকেই দেয় তারা এই জাতের মধ্যে পড়ে।। যারা সবচেয়ে কুৎসিত সমালোচনা নিজের শ্রেণিকে নিয়েই করে তারাও এই জাতের । মনে করুন, সহস্রকোটিপতি কোন ব্যাবসাদার ভোটে দাঁড়াল আর একজন রিক্সাচালক নিজের শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করা প্রার্থীর বাপান্ত করতে করতে নিজের ভোটটা সেই ব্যাবসাদারকে দিয়ে দিল। এইরকম নির্বোধ শ্রেণিকে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বলা যায়। এই শ্রেণিকে ‘লুম্পেন মালিক’শ্রেণি ব্যবহার করে।
লুম্পেন মালিক বলতে গেলে বলতে হয় তেমন কোন ব্যবসায়ী বা ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট বা পুঁজিপতি যে শ্রমিকের কাজের ঘন্টার অধিকার দিতে অস্বীকার করে এবং ওই শ্রেণিকে দিয়ে স্বল্প পারিশ্রমিকে বেশি করে খাটিয়ে নেয়। এরা শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত যত বাড়ে লুম্পেন মালিকদের সম্পদ বাড়াতে ততই সুবিধে হয়। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত নির্বোধ হয় বলে লুম্পেন মালিকের সঙ্গে তাদের কোন বিরোধ বাধেনা।
<>
লুম্পেন বুর্জোয়া বা লুম্পেন মালিক যে শুধু লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের ঠকিয়ে কাজ আদায় করে তাই নয়, তারা দেশের সম্পদ চুরি করে। রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সুবিধে মত আইন সংশোধন করিয়ে নেয়। দেশের সম্পদ চুরি করে তারা বিদেশেও চম্পট দেয়। রাষ্ট্রের সম্পত্তি নিজেদের কুক্ষিগত করে। লুম্পেন নেতাদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। এরা লুম্পেন নেতাদের অর্থ সাহায্য করে। এবং রাষ্ট্রশক্তি নিজেদের অধীনে করার চেষ্টা করে।
লুম্পেন নেতারা দেশের মানুষকে আসল সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এরা বিরোধী মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হিংসার প্ররোচনা দেয়। লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের সাহায্যে এরা হিংসা ছড়ায়। এই শ্রেণির সঙ্গে লুম্পেন বুর্জোয়া শ্রেণির সখ্যতা তৈরি হয়। এই দুটো শ্রেণি মিলে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতদের সমর্থনে রাষ্ট্রক্ষমতা অধিকার করে। তাই এই দুটো শ্রেণি সবসময়ে চায় যেন দেশে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত বাড়তেই থাকে। অরাজকতা যেন বাড়তেই থাকে।
লুম্পেন মিডিয়া এইসব শ্রেণিকে সাহায্য করে। প্রোলেতারিয়েত শ্রেণির মধ্যে তারা আজগুবি স্বপ্ন দেখিয়ে, অবাস্তব গল্প শুনিয়ে আর বিভেদের গান গেয়ে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত-এর সংখ্যা বাড়াতে থাকে। লুম্পেন মিডিয়া এই দুটো শ্রেণির বাদ্যযন্ত্র হিসেবে কাজ করে। বাজনা বাজাতে লুম্পেন মিডিয়া এই দুই শ্রেণির কাছ থেকে পারিশ্রমিক আদায় করে নেয়।