রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিতর্কের পর তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর দলের সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়ানের সহযোগিতায় ফেসবুকে একটি ‘পেজ’ খুলেছেন। এই নিয়ে সারা দেশের খবরে কাগজে একগুচ্ছ খবরও প্রকাশিত হয়েছে। মমতার ‘পপুলারিটি গ্রাফ’ যে একচুলও কমেনি তাই প্রমাণ করতে বিভিন্ন সংবাদপত্র মমতার ‘পেজ’এ ‘লাইক’ সংখ্যা গুনে বলে দিচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় এক লাখ লোক মমতার ‘পেজ’কে ‘লাইক’ করেছেন। মমতাও মুলায়ম সিং-এর কুস্তির প্যাঁচে কুপোকাৎ হয়ে মিডিয়ার সামনে আসা কমিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, এরপর থেকে তিনি যা বলবেন ফেসবুকেই বলবেন। নিন্দুকের বলছেন লজ্জায় মমতা ফেসবুকে মুখ লুকিয়েছেন। যদিও বেশি কিছু তিনি ফেসবুকে বলতে পারেননি।
মহাকরণে তাঁর ‘রাজত্ব’ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যে বেশ কয়েকটি বড়সড় অঘটন ঘটেছে। বিষমদ কান্ড, আমরি অগ্নিকান্ড, শিশুমৃত্যুর আধিক্য ইত্যাদে। এইসব দেখা তিনি মহাকরণ থেকেই হাঁক পেড়েছিলেন, এরপর থেকে যা যা ঘটবে তার সব দোষ তিনি সিপিএম-কেই দেবেন। তাই শুনে মমতাধর্মী একটি সংবাদপত্রের সম্পাদিক তো আস্ত একটি সম্পাদকীয় লিখে ফেললেন। তিনি তাঁর মেজদার ‘রাবড়ি প্রসেস’এর তত্ত্ব তুলে বুঝিয়ে দিলেন এতদিন তো এইরকম ঘটনা ঘন ঘন ঘটেনি। এখন যখন ঘটছে তার পেছনে শত্রুদের ঘনঘটা লক্ষ্যণীয়।
মমতার সিপিএম-এর ওপর দোষারোপ করার বাতিক এখনো কমেনি। বরং বলা যায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সারা ভারতে দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুঁতে চাইছে। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে চাইছে দৈনন্দিন অত্যাবশ্যক পণ্যবস্তু। পশ্চিমবঙ্গও দ্রব্যমূল্যের উচ্চহারের ছোঁয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছেনা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যে দায়ী কেন্দ্রীয় নীতি। সেই কেন্দ্র সরকারের শরিক মূল্যবৃদ্ধির দায়ে দোষী করছেন বিরোধীদের। অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে শিথিলতা আনা হয়েছে। এর ফলে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে ফেলছে। ফড়ে, মজুতদার ও কালোবাজারিদের দাপট বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বিজেপির আমলেই আবশ্যক পণ্য আইন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নীতি শিথিল করা হয়। সেই আমলে বিজেপির সঙ্গেও কেন্দ্র সরকারের শরিক ছিলেন মমতা। কিন্তু খোদ মহাকরণেই পশ্চিমবঙ্গের দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সিপিএম-কেই চিহ্নিত করেছেন। অর্থাৎ মমতার মমতার স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। তিনি রাজ্যের ক্ষমতা পেয়ে প্রথমেই বলেছিলেন এরপর থেকে যা অঘটন ঘটবে তার সব দোষ সিপিএম-এর। তাই সবজি এবং অন্যান্য আবশ্যক পণ্যবস্তুর মূল্যবৃদ্ধির দোষ তো তাঁর শত্রুদের ঘাড়েই চাপবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের অযৌক্তিক কথাবার্তা মানুষের মনে দাগ কেটে যাচ্ছে। বজু মানুষ যারা বামপন্থীদের শিক্ষা দিতে বামপন্থীদের ক্ষমতাছাড়া করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কালিদাস বলছেন। অনেকে বুঝতে পেরেছেন যে তাঁরা যে ডালে চড়ে নিরাপদে বসেছিলেন সেই ডালটিকেই কেটে দিয়েছেন। শুধু মমতার নাম বলি কেন, তাঁর দলের সর্বস্তরের নেতা নেত্রীদের অযৌক্তিক কথার প্রভাব মানুষের মনের মধ্যে দাগ কাটছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সিপিএম-এর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও তাঁর দলের সদস্যদের সিপিএম-এর বিরুদ্ধে ঘৃণাভরা উপদেশাবলী বহু সভ্য এবং শিক্ষিত তৃণমূল সদস্য মেনে নিতে পারছেন না। পার্থা চট্টোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পায়নের বাতায়ণ খুলে বসে থাকলেও শিল্পপতিরা রাজ্য থেকে সরে যাচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে অসত্যকান্ত এবং মিথ্যাকান্ত বলে ব্যঙ্গ করেছেন। কিন্তু তিনি শিল্পপতিদের কাছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অপদার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়ে গেছেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি।
ফেসবুকে ইদানীং মমতাকে নিয়ে ব্যঙ্গকলার আধিক্য চোখে পড়ছে। সব ব্যাটাকে ছেড়ে ফেসবুকে বামসমর্থকেরা ‘বেঁড়ে ব্যাটা’কেই ধরেছেন। এতে মমতার অপশাসনের শাপে বর হতে পারে। মমতা আজীবন সিপিএম বিরোধী। তাঁর এক পাশে কুমীর আর অন্য পাশে সিপিএম-এর কোন নেতা বা সমর্থক থাকলে তিনি কুমীরের পেটে চলে যাবেন কিন্তু সিপিএম-এর পাশে দাঁড়াবেন না। এইরকম জেদী মহিলার শাসনকালে অপশাসনের যতই দোহাই ফেসবুকে আদান প্রদান করুক না কেন। মমতার ফেসবুক ‘পেজ’এর ‘লাইক’ আরও বাড়বে। ভিনদেশি, অন্যান্য ভাষাভাষী বিভিন্ন বয়সের মানুষ মমতাকে দেবীর সঙ্গে তুলনা করছেন। তিনি যত বড় অপশাসকই হোন না কেন, অরাজনৈতিক মানুষ তাঁকে সিং হাসনে চড়িয়ে রাখবেন বলেই মনে হচ্ছে। ক্ষতি হবে পশ্চিমবঙ্গের। তাই মমতার সমালোচনা না করের রাজ্যের নীতি, রাজ্য সরকারের কার্যকলাপ এবং কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করাই বাঞ্ছনীয়।
মহাকরণে তাঁর ‘রাজত্ব’ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যে বেশ কয়েকটি বড়সড় অঘটন ঘটেছে। বিষমদ কান্ড, আমরি অগ্নিকান্ড, শিশুমৃত্যুর আধিক্য ইত্যাদে। এইসব দেখা তিনি মহাকরণ থেকেই হাঁক পেড়েছিলেন, এরপর থেকে যা যা ঘটবে তার সব দোষ তিনি সিপিএম-কেই দেবেন। তাই শুনে মমতাধর্মী একটি সংবাদপত্রের সম্পাদিক তো আস্ত একটি সম্পাদকীয় লিখে ফেললেন। তিনি তাঁর মেজদার ‘রাবড়ি প্রসেস’এর তত্ত্ব তুলে বুঝিয়ে দিলেন এতদিন তো এইরকম ঘটনা ঘন ঘন ঘটেনি। এখন যখন ঘটছে তার পেছনে শত্রুদের ঘনঘটা লক্ষ্যণীয়।
মমতার সিপিএম-এর ওপর দোষারোপ করার বাতিক এখনো কমেনি। বরং বলা যায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সারা ভারতে দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুঁতে চাইছে। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে চাইছে দৈনন্দিন অত্যাবশ্যক পণ্যবস্তু। পশ্চিমবঙ্গও দ্রব্যমূল্যের উচ্চহারের ছোঁয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছেনা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যে দায়ী কেন্দ্রীয় নীতি। সেই কেন্দ্র সরকারের শরিক মূল্যবৃদ্ধির দায়ে দোষী করছেন বিরোধীদের। অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে শিথিলতা আনা হয়েছে। এর ফলে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে ফেলছে। ফড়ে, মজুতদার ও কালোবাজারিদের দাপট বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বিজেপির আমলেই আবশ্যক পণ্য আইন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নীতি শিথিল করা হয়। সেই আমলে বিজেপির সঙ্গেও কেন্দ্র সরকারের শরিক ছিলেন মমতা। কিন্তু খোদ মহাকরণেই পশ্চিমবঙ্গের দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সিপিএম-কেই চিহ্নিত করেছেন। অর্থাৎ মমতার মমতার স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। তিনি রাজ্যের ক্ষমতা পেয়ে প্রথমেই বলেছিলেন এরপর থেকে যা অঘটন ঘটবে তার সব দোষ সিপিএম-এর। তাই সবজি এবং অন্যান্য আবশ্যক পণ্যবস্তুর মূল্যবৃদ্ধির দোষ তো তাঁর শত্রুদের ঘাড়েই চাপবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের অযৌক্তিক কথাবার্তা মানুষের মনে দাগ কেটে যাচ্ছে। বজু মানুষ যারা বামপন্থীদের শিক্ষা দিতে বামপন্থীদের ক্ষমতাছাড়া করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কালিদাস বলছেন। অনেকে বুঝতে পেরেছেন যে তাঁরা যে ডালে চড়ে নিরাপদে বসেছিলেন সেই ডালটিকেই কেটে দিয়েছেন। শুধু মমতার নাম বলি কেন, তাঁর দলের সর্বস্তরের নেতা নেত্রীদের অযৌক্তিক কথার প্রভাব মানুষের মনের মধ্যে দাগ কাটছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সিপিএম-এর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও তাঁর দলের সদস্যদের সিপিএম-এর বিরুদ্ধে ঘৃণাভরা উপদেশাবলী বহু সভ্য এবং শিক্ষিত তৃণমূল সদস্য মেনে নিতে পারছেন না। পার্থা চট্টোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পায়নের বাতায়ণ খুলে বসে থাকলেও শিল্পপতিরা রাজ্য থেকে সরে যাচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে অসত্যকান্ত এবং মিথ্যাকান্ত বলে ব্যঙ্গ করেছেন। কিন্তু তিনি শিল্পপতিদের কাছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অপদার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়ে গেছেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি।
ফেসবুকে ইদানীং মমতাকে নিয়ে ব্যঙ্গকলার আধিক্য চোখে পড়ছে। সব ব্যাটাকে ছেড়ে ফেসবুকে বামসমর্থকেরা ‘বেঁড়ে ব্যাটা’কেই ধরেছেন। এতে মমতার অপশাসনের শাপে বর হতে পারে। মমতা আজীবন সিপিএম বিরোধী। তাঁর এক পাশে কুমীর আর অন্য পাশে সিপিএম-এর কোন নেতা বা সমর্থক থাকলে তিনি কুমীরের পেটে চলে যাবেন কিন্তু সিপিএম-এর পাশে দাঁড়াবেন না। এইরকম জেদী মহিলার শাসনকালে অপশাসনের যতই দোহাই ফেসবুকে আদান প্রদান করুক না কেন। মমতার ফেসবুক ‘পেজ’এর ‘লাইক’ আরও বাড়বে। ভিনদেশি, অন্যান্য ভাষাভাষী বিভিন্ন বয়সের মানুষ মমতাকে দেবীর সঙ্গে তুলনা করছেন। তিনি যত বড় অপশাসকই হোন না কেন, অরাজনৈতিক মানুষ তাঁকে সিং হাসনে চড়িয়ে রাখবেন বলেই মনে হচ্ছে। ক্ষতি হবে পশ্চিমবঙ্গের। তাই মমতার সমালোচনা না করের রাজ্যের নীতি, রাজ্য সরকারের কার্যকলাপ এবং কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করাই বাঞ্ছনীয়।