খামে ভরা উপদেশ
মুখ্যমন্ত্রীর পদে নিয়োগ পেলেন এক জননেত্রী। মন্ত্রণালয়ে প্রথম দিন এসে দেখলেন, তাঁর টেবিলের ওপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একটা চিরকুট আর পাঁচটি খাম রেখে গেছেন। চিরকুটে লেখা আছে, ‘যখনই কোনো সমস্যা হবে, একটা করে খাম খুলবেন এবং তাতে যা নির্দেশ দেওয়া আছে, তা পালন করবেন।’
প্রথম বছরেই প্রচণ্ড অর্থ সংকটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একটা খাম খুললেন। তাতে লেখা আছে, ‘আগের সরকারকে ইচ্ছামতো গালি দিন।’ তিনি তা-ই করলেন। আশ্চর্য ব্যাপার, সঙ্গে সঙ্গে ঝামেলা মিটে গেল। পরের বছর বাজেট নিয়ে আবার তিনি বিপদে পড়লেন। এবার খুললেন দ্বিতীয় খাম, তাতে লেখা, ‘আগের সরকারের সব পরিকল্পনা বাতিল করে দিন।’ তিনি তা-ই করলেন। আশ্চর্য, এবারও তিনি সমস্যা থেকে দিব্যি উতরে গেলেন। এবার এল তৃতীয় বছর। এ বছরও ঘাটতি বাজেট নিয়ে জটিল সমস্যায় পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তিন নম্বর খামটা খুললেন। তাতে লেখা, 'এবার নিজের প্রথম বছরের নেওয়া প্রকল্পগুলি বাতিল করে দিন।' এরকম ভাবে তৃতীয় বছরটাও নির্বিঘ্নে কেটে গেল। চতুর্থ বছরও সেই একই অর্থ সঙ্কট। তিনি চতুর্থ খামটি খুললেন। তাতে লেখা আছে 'এবার নিজের দ্বিতীয় বছরের নেওয়া প্রকল্পগুলি বাতিল করে দিয়ে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করে দিন।' আশ্চর্য! এবারও তিনি নির্বিঘ্নে পার পেয়ে গেলেন। পঞ্চম বছরও সেই এক সমস্যা। টাকা নেই। তিনি পঞ্চম খামটি খুললেন। তাতে লেখা ছিল, 'এবার হুবহু পাঁচটি খাম লিখে টেবিলের ওপর রেখে দিয়ে বিদায় হন।'
চাষাকে প্লেন দেওয়া হবে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন। -- কেবল আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হোক, দেখবেন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে গোটা রাজ্য। ৩৪ বছরে আপনারা একটা সাইকেলও পেলেননা। আমি আমাদের একটা করে প্লেন দিয়ে দোব। অ্যাই ডিএম, প্লেন কবে নাগাদ দিতে পারবেন বলুন। আমাদের সবারই একটা করে প্লেন থাকবে। তখন শিলাদিত্যের মতো এক মুর্খ চাষা প্রশ্ন করলো- প্লেনের মালিক হয়ে আমরা কি করব?
মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বললেন, এটিও বুঝতে পারছেন না? ধরুন আপনার শহরের দোকানে আলুর সাপ্লাই নেই, নো চিন্তা, প্লেন নিয়ে মস্কো চলে যান, আলু কিনে ফিরে আসুন। আলুর দম ইজ ভেরি উপাদেয়। অ্যাই ডিএম, এদের বুঝিয়ে দাও।
ভক্তবৃন্দের প্রতিজ্ঞা
মমতাঃ তোমরা সবাই প্রতিজ্ঞা কর জীবনে আর কখনো তোলাবাজি চালাবেনা।
ভক্তবৃন্দঃ প্রতিজ্ঞা করছি দিদি, আর কখনো না।
মমতাঃ প্রতিজ্ঞা কর, জীবনে কখনো মেয়েদের দিকে তাকাবে না।
ভক্তবৃন্দঃ প্রতিজ্ঞা করছি দিদি, কখনো তাকাবো না।
মমতাঃ প্রতিজ্ঞা কর জীবনে কখনো মেয়েদের জ্বালাতন করবে না।
ভক্তবৃন্দঃ প্রতিজ্ঞা করছি দিদি।
মমতাঃ প্রতিজ্ঞা কর মা মাটি মানুষের জন্যে শহিদ হবে।
ভক্তবৃন্দঃ প্রতিজ্ঞা করছি দিদি, শহিদ হয়ে যাব। এমনিতে এই জীবন রেখে আর কি করব!
অঙ্কেও বামপন্থী
মমতাঃ মুকুল তুই এবার ৫৫ লেখ।
মুকুলঃ কিভাবে দিদি?
মমতাঃ প্রথমে একটা ৫ লেখ তার পর আর একটা পাঁচ।
মুকুলঃ একটা ৫ লিখে থেমে গেল।
মমতাঃ কি হল?
মুকুলঃ কোন পাশে লিখব বাঁপাশে না ডানপাশে?
মমতাঃ বাঁ পাশে লেখ। আমরা বামপন্থী তো।
মিথ্যা মাপার যন্ত্র
মারা গিয়ে পল্টুবাবু যমরাজের বাড়ি পৌঁছোলেন। ওখানে পৌঁছে দেখেন বিভিন্ন রকম ঘড়ি টাঙানো আছে। ঘড়িগুলোর সেকেন্ডের কাঁটা, মিনিটের কাঁটা আর ঘন্টার কাঁটা বিভিন্ন গতিতে ঘুরছে। কৌতূহলবশত পল্টুবাবু যমরাজকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্যার, এমন হচ্ছে কেন? ঘড়িগুলো তো আলাদা আলাদা সময় দেখাচ্ছে!'
যমরাজ বললেন, 'ওগুলো ঘড়ি নয়। ওগুলো হল মিথ্যে মাপার যন্ত্র। মর্ত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নামে এক একটা ঘড়ি আছে। ওঁরা যেমন যেমন মিথ্যা কথা বলেন তেমন তেমন ঘড়িগুলো ঘুরতে থাকে।'
পল্টুবাবু এবার ঘড়িগুলো দেখতে দেখতে একটা ঘড়ি দেখলেন একদম ঘুরছেনা। আবার কৌতূহল হল।
পল্টুবাবু সেই না ঘোরা ঘড়িটা দেখিয়ে যমরাজকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্যার ইনি কে? ইনি কি কোন সত্যবাদী রাজনেতা?'
যমরাজ জবাব দিলেন। 'না। ইনি মমতা। বনবন করে ঘুরতে ঘুরতে ঘড়িটা খারাপ হয়ে গেছে। আর ঠিক করা যাচ্ছেনা।'
ব্রেনের দাম দশ লাখ
এক ভদ্রলোক ব্রেন কিনতে এক দোকানে গেছেন
ভদ্রলোকঃ আমাকে একটা ভাল ব্রেন দিতে পারবেন?
দোকানদারঃ আমার কাছে অনেক রকম ব্রেন আছে।
ভদ্রলোকঃ তাহলে দেখান।
দোকানদারঃ [বিভিন্ন ব্রেন দেখাতে শুরু করলেন।] এইটা সাধারণ মানুষের ব্রেন, দাম দু হাজার টাকা। এইটা একজন স্যাকরার ব্রেন দাম চার হাজার টাকা। এইটা এক শেয়ালের ব্রেন, দাম দশ হাজার টাকা।
ভদ্রলোকঃ এর চেয়ে ভাল ব্রেন পাওয়া যাবে কি?
দোকানদারঃ [এবার তিনি একটা সিন্দুক খুলে দেখালেন] আপনি এইটা নিতে পারেন। এর দাম দশ লাখ টাকা।
ভদ্রলোকঃ দশ লাখ! এত দাম কেন?
দোকানদারঃ এইটা মমতার ব্রেন। কোন দিন ব্যবহার হয়নি। একেবারে ফ্রেশ। নিলে ঠকবেন না।
নারকোল ব্রেন
তিন বৈজ্ঞানিক গল্প করছেন। একজন আমেরিকান, দ্বিতীয়জন জার্মান আর তৃতীয়জন ভারতীয়।
আমেরিকানঃ আমাদের দেশের বিজ্ঞান অনেক উন্নতি করেছে। একটি বাচ্চা জন্মেছিল তার কোন দুটো হাত ছিলনা। আমরা নকল হাত লাগিয়েছি। সেই বাচ্চা বড় হয়েছে। সে এখন একটি বড় বক্সিং প্লেয়ার। অলিম্পিকেও সোনা জিতল।
জার্মানঃ এ তো কিছুই নয়। আমাদের দেশে একটি বাচ্চা জন্মেছিল তার দুটো পা ছিলনা। আমরা তার নকল পা লাগিয়েছি। সেই বাচ্চা বড় হয়ে তিনবার অলিম্পিকে ম্যারাথন রেসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
ভারতীয়ঃ ধুস। আপনারা কিছুই করতে পারেননি। আমাদের দেশে একজন বিনা মাথার মেয়ে জন্মেছিল। আমরা একটা বড় নারকেল তার ওপর বসিয়ে দিয়েছিলাম। সে আজ অনেক বড় হয়েছে। অনেক খ্যাতি এখন তার।
আমেরিকানঃ স্ট্রেঞ্জ! কিন্তু তিনি কোথায়?
জার্মানঃ স্ট্রেঞ্জ! কিন্তু তিনি কোথায়?
ভারতীয়ঃ তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্প কেন আসছেনা
আপনার যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে, শুধু এটা বোঝাতে পারলেই যে কোনো ব্যাংক আপনার ওপর টাকা খাটাতে রাজি হবে। উলটে ধরলে, যথেষ্ট পরিমাণ টাকা নেই বললে কেউ টাকা খাটাতে চাইবেনা। তাই বাংলায় 'নেই টাকা, নেই টাকা' বলার জন্যেই শিল্পপতিরা টাকা খাটাতে চাইছেনা।
মা এবং মমতা
প্রশ্নঃ মা এবং মমতার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ মায়ের কারণে তুমি কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবীতে এসেছিলে, মমতার কারণে তুমি সারা জীবন কাঁদবে।