Flickr Gallery

Wednesday, February 1, 2012

শ্ত্রুরা রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলে উন্নতি হতে বাধ্য


মুখ্যমন্ত্রী কি ভাবে ক্লাবগুলিকে স্বেচ্ছায় বিপুল অর্থ বন্টন করতে পারেন? বিনা পরিকল্পনায় এত টাকা বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে রাজ্য সরকার কেন দিল? এত তাড়াহুড়ো করে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে টাকা দেওয়ার পেছনে কিসের তাগিদ ছিল? বিভিন্ন সরকারি মহলের আপত্তি সত্ত্বেও অন্যান্য তহবিল থেকে টাকা বের করে ক্লাবগুলিকে দিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে কি বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী?

ক্লাবের নথিপত্র সঠিকভাবে পরীক্ষা না করেই টাকা দেওয়া হল। বিগত তিন বছরের অডিট রিপোর্ট এবং সাধারণ সভার বিবরণ সরকারের কাছে নেই। তাও টাকা দেওয়া হল। বেশ কিছু ক্লাবকে তো চটজলদি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে হাতে টাকা গুঁজে দেওয়া হল। ১৯টি জেলার প্রায় ৮০০টি ক্লাবকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হল। জঙ্গলমহলে আলাদাভাবে প্রায় ৭৫০টি ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের প্রায় ২০০টি ক্লাবকে আবার ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। সরকারি টাকার ধ্বংস করে কাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে? কেন এত তাড়াহুড়ো?

রাজ্যে এখন অপশাসন চলছে। চোলাই খেয়ে মরলে তাড়াহুড়ো করে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে এমন ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে না খেতে পেয়ে চাষী মারা গেলে চোখ বন্ধ করে রাখা হয়। কৃষকমৃত্যু এই রাজ্যে বাড়ছে। কিন্তু যেহেতু কথাটা সিপিআইএম দলটি প্রকাশ্যে আনছে, তাই এই রাজ্য সরকারের কাছে ওই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অর্থাৎ কৃষকের মৃত্যুর জন্যে এই রাজ্য সরকার দায়ী নয়। কৃষক আত্মহত্যা হচ্ছে দেনার দায়ে, অর্থাৎ পেটের দায়। কিন্তু রাজ্য সরকার বলছে অন্য কোন কারণ আছে এইসব আত্মহত্যার পেছনে। ত্রাণ তহবিল থেকে সেইসব কৃষকরা এখনও একটি ফুটো পয়সাও চোখে দেখলনা। অথচ ত্রাণ তহবিলের থেকে সুন্দরবনের ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হয়ে গেল। দুঃস্থদের চিকিৎসাবাবদ বরাদ্দ থেকেও টাকা সরিয়ে নিয়ে ক্লাবপুজো করা হল।

এই নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত নয়। কারণ যদি প্রতিবাদ হয় তবে রাজ্য সরকারের কর্ণধার ভাবেন তিনি ঠিক কাজ করছেন। তিনি ভাবেন শত্রুরা ভাল কাজ দেখতে পারছেনা বলেই হইচই করছে। তাই সেই কাজ আরও বেশি করে করতে থাকেন। সবাই যদি বলে দেনার দায়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে তবে তিনি বলেন, দেনার দায়ে নয়, অন্য কোন কারণে তারা আত্মহত্যা করছে। গোলা ভর্তি ধান থাকতে কেন কৃষক আত্মহত্যা করতে যাবে? রাজ্য সরকারের এইভাবে টাকা নয়ছয় করার জন্যে বিরোধী পক্ষের উচিত রাজ্য সরকার এবং তার কর্ণধারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া। তবে কর্ণধার বুঝতে পারবেন যে শত্রুরা যখন প্রশংসা করছে তখন তাঁর নিশ্চয়ই কোথাও কোন বড় গন্ডগোল হচ্ছে। তিনি যদি গন্ডগোল বুঝতে পেরে বিভিন্ন তহবিলের টাকার হরির লুট আটকে দেন তবে লাভ হতে পারে মানুষের। তাই জনসাধারণের মুখের দিকে চেয়ে ‘শত্রুপক্ষ’র এখন উচিত রাজ্য সরকারের যে কোন ভূল কাজের প্রশংসা করে সেই কাজে বাগড়া দেওয়া। 

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
বাংলা ব্লগ জগতের সিন্ধুতে আমরাও একটা বিন্দু। নেট ঘেঁটো বাঙালির আপ্যায়ণে বড় হচ্ছে। শৌভিকের লেখা পড়তে এই ব্লগে যান LEKHASHAUBHIK.BLOGSPOT.COM