Flickr Gallery

Monday, May 27, 2019

৩৪ বছরে বাংলায় সিপিএম কচু করেছে


৩৪ বছর ‘রাজত্ব’ করে আপনারা কিছুই করতে পারেননি। আপনারা ল্যান্ড রিফর্মস দেখাচ্ছেন? যেসব রাজ্যে জমি এখনো জমিদারের হাতে আছে সেখানে মানুষ বেঁচে নেই নাকি? আপনারা কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন? তাহলে চাষীরা এখন বেগুনের দাম পাচ্ছে না কেন? যেখানে আপনারা নেই সেখানেও চাষীরা বেগুন দুটাকা কিলো বেচে। তবে? আপনারা থেকেই বা কি করলেন এই রাজ্যে? আপনারা ৩৪ বছর ধরে আমাদের সচেতন করতেও পারেননি ঠিক করে। নাহলে আমরা কেন তৃণমূলকে ডাকলাম। নাহলে আমরা কেন বিজেপিকে ডাকলাম। বলুন দেখি! জবাব দিন। 
শুনেছি আপনারা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ না কি একটা করেছিলেন। তাতে কি হল? পঞ্চায়েতগুলো তো গেল! গণতন্ত্র আপনারা পুরো পাবলিকের মধ্যে বিলি করেই ভুল করে ফেলেছেন। উলটে আপনাদের শুনতে হয় আপনারা গণতন্ত্র মানেন না। ঠিক কথা। আপনারা মানেন না বলেই পাবলিকের হাতে ছেড়ে দিলেন। পঞ্চায়েত গড়ে দিলেন। গণতন্ত্রের পুরো পিন্ডি চটকে দিলেন। ডেমোক্র্যাসিকে একেবারে গ্রাসরুট লেবেলে নামিয়ে আনার কি খুব দরকার ছিল? ঘাসের লেবেলে নামিয়ে আনলেন। আর ঘাসফুল ফুটে গেল। 

শুনেছি আপনারা পড়াশোনা শেখানোর জন্যে অনেক অনেক সরকারি ইস্কুল গড়ে দিয়েছিলেন। ছেলেপিলেরা পড়তে গেল। শিক্ষার হার বাড়ল। তাতে কি হল! মানুষ বিদ্যাসাগর ভেঙে ফেলল। নজরুল মেট্রো স্টেশন হয়ে গেল। বিনয় বাদল দীনেশ হয়ে গেল মিনিবাসের স্ট্যান্ড। মাস্টারদা বাংলাদেশী হয়ে গেল। রবীন্দ্রনাথ আঁতেল কবি। নেতাজি গুম হয়ে গেল। ক্ষুদিরাম হয়ে গেল হাসির খোরাক। আর হনুমান হয়ে গেল পূজ্য। এত শিক্ষা দিয়ে একটাও শিক্ষিতকে, উচ্চশিক্ষিতকে পার্লামেন্ট লেবেলে নিয়ে যেতে পারলেন? পারলেন না তো? তবে? 

আপনারা কিছুই করতে পারলেন না। এমনকি নেতা মন্ত্রী হয়ে গেলেন কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার ঘাপলাও করতে পারলেন না। আপনারা কেউ এমপি-এমএলএ হয়ে কোটিপতি হতে পারলেন না। আপনাদের ওপর মানুষ বিশ্বাস করবে কেন? যারা এমপি হয়ে নিজেদের গোছাতে পারেনা তারা আবার পাবলিককে কি করে কিছু গুছিয়ে দিতে পারে। জানেন তো, নেতা হতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে আজকাল। কিছু টাকা মেরে রাখতে পারতেন তো! তাহলেও না হয় বুঝতাম কিছু করেছেন। হাইলাইট হয়ে যেতেন মিডিয়ায়। লাইমলাইটে থাকতেন। মিডিয়া এসব খুব দেয়। পাবলিক এসব খুব খায়। আর পাবলিক তাদেরই নেতা বানায় যারা এসব করে। এই সূত্রটা কেন বুঝলেন না? জবাব দিন! 

জানেন তো, হনুমান চালিশা নিয়ে দিনে দুবার জপ করলেই অনেক বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। মন দিয়ে সত্যনারায়ণ কথা শুনলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তা না করে, মার্ক্স আর লেনিন নিয়ে পড়ে আছেন? ওরা কারা? ওরা কি হনুমানের চেয়েও বড় ঠাকুর। ওরা কি রামের চেয়েও বেশি জানে? তবে? 

আমার ওপর রাগ করবেন না। আপনাদের উদ্দেশ্যে লিখিনি। আপনারা যতই ইনকিলাব বলুন আর জিন্দাবাদ করুন, আমি জ্যাস্যিরাম বলেছি। বলছি। বলব। বেশ করব। গণতন্ত্র বলতে আমি যা বুঝেছি তাই লিখেছি। ব্যাস।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
বাংলা ব্লগ জগতের সিন্ধুতে আমরাও একটা বিন্দু। নেট ঘেঁটো বাঙালির আপ্যায়ণে বড় হচ্ছে। শৌভিকের লেখা পড়তে এই ব্লগে যান LEKHASHAUBHIK.BLOGSPOT.COM