জুম্মার নামাজের পর নামাজিরা মোল্লাকে ছেঁকে ধরল। মোল্লা তোমাকে কিছু বলতে হবে। তুমি আমাদের কিছু জ্ঞানের কথা শোনাও। মোল্লা আবার কি বলবে! মোল্লা বলল, আমি বাপু অতশত জানিনা। আমি বলতে পারবনা। নাছোড়বান্দা সবাই। মোল্লা এইবার ভেবেটেবে বলতে উঠল।
“বন্ধুগণ, প্যায়ারে দোস্তো, আমি যা বলতে চাইছি আপনারা নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারছেন।”
লোকেরা ভ্যাবাচ্যাকা। মোল্লা কিছু বলতে চাইছে। মোল্লা কি বলে দেখাই যাক। লোকেরা মশকরা করে বলল, “না না আমরা জানিনা আপনি কি বলতে চাইছেন, বলুন, বলুন, আপনি কিছু বলুন।”
মোল্লা তখন বলল, “জানেনই না যখন, তখন আর জেনে কী হবে? আমি চলি ভাই।” এই বলে মোল্লা গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেল। লোকেরা ভাবল, আচ্ছা বোকা বানাল তো মোল্লা।
পরের জুম্মায় আবার মোল্লাক আটকে নামাজিরা বলল, “মোল্লা, আপনাকে কিছু বলতে হবে। আগের বার আমাদের বোকা বানিয়ে আপনি চলে গেছেন। এবারে ছাড়ছিনা। কিছু বলতেই হবে মোল্লা।”
মোল্লা সাতপাঁচ না ভেবে ভিড়ের মধ্যে জোরে জোরে বলতে বলতে লোকেদের সামনে এগিয়ে এল, “আমি আজ আপনাদের বলতে চাই তা আপনারা কি জানেন?”
লোকেরা চালাকি করে বলল “জি মোল্লা সাহেব, আমরা সবাই জানি আপনি কি বলবেন। এবার বলুন।”
মোল্লা ঝট করে উত্তর দিল, “জানেনই যখন, তখন আর আমার বলার দরকার কী?”
এই কথা বলে মোল্লা আবার গটগট করে হেঁটে ভিড় ঠেলে কেটে পড়ল।
লোকেরা মোল্লার এই চালাকি দেখে আরও জেদে পড়ে গেল। পরের জুম্মায় আবার মোল্লাকে ধরল কিছু বলানোর জন্যে। মোল্লা এবার আর ভ্যানতাড়া না কষে বলল, “আমি কি বলতে চাই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন।” সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরা জানি আপনি কি বলতে চাইছেন।” আবার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা বলল, “না না, আমরা জানিনা আপনি কি বলবেন, তাই আপনি বলুন আমরা শুনি।” লোকেরা ভাবল, এবার মোল্লাকে বাগে পাওয়া গেছে। মোল্লা তো বলতেই জানেনা। এবার কি বলে দেখা যাক।
মোল্লা আর ক্ষণিক সময় নষ্ট না করে বলল, “তাহলে তো ভালই হল। যারা জানেন তাঁরা যারা জানেন না তাঁদের জানিয়ে দিন। আমি তবে চলি।”